বিনা কৃষি প্রযুক্তি

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল আমন ধানের জাত সম্পর্কে জানতে ট্যাব সিলেক্ট করুন।












বিনা কৃষি প্রযুক্তি

জাতের নামঃ বিনাধান-৭

জাতের বৈশিষ্টঃ
o উচ্চ ফলনশীল ও উন্নত গুণাগুণ সম্পন্ন রোপা আমন জাত।
o গাছ খাট ও শক্ত ফলে হেলে পড়ে না।
o পাতা গাঢ় সবুজ ও চওড়া। আগাম পাকে।
o জীবনকাল ১১০-১২০ দিন।
o এ জাতের ধান কেটে সহজে সরিষা, মসুর, গম, গোল আলু ও অন্যান্য রবি ফষর চাষ করা যায়।
o ধান উজ্জ্বল রংয়ের। ধান ও চাল লম্বা এবং চিকন, খেতে সুস্বাদু। ফলে বাজার মূল্য বেশি এবং রপ্তানীর উপযোগী।
o এছাড়া চাউলে এ্যামাইলোজের পরিমাণ ২৪-২৫%।

জমি ও মাটিঃ বেলে দো-আঁশ এবং এটেল দো-আঁশ জমি বিনাধান-৭ চাষের উপযোগী।

জমি তৈরীঃ জাতটির চাষাবাদ পদ্ধতি অন্যান্য উফশী রোপা আমন জাতের মতই।

বপন ও রোপণের সময়ঃ খরিফ-২ মৌসুমে অঞ্চলভেদে জুন মাসের শেষ সপ্তাহ হতে মধ্য জুলাই (আষাঢ়ের ২য় সপ্তাহ হতে শেষ সপ্তাহ) পর্যন্ত বীজতলায় বীজ ফেলে ২০-২৫ দিনের চারা জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ হতে আগষ্ট মাসের শেষ সপ্তাহ অর্থাৎ শ্রাবণের দ্বিতীয় সপ্তাহ হতে ভাদ্র মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোপণ করলে ফলন ভালো পাওয়া যায়।

বীজ হারঃ প্রতি হেক্টর জমি চাষের জন্য ২৫-৩০ কেজি বা এক একর জমির জন্য ১০-১২ কেজি বীজ প্রয়োজন হয়।

বীজ শোধনঃ প্রতি ১০ কেজি বীজে ২০-২৫ গ্রাম প্রোভ্যাক্স বা ব্যাভিস্টিন ব্যবহার করা যেতে পারে। বীজ শোধনের জন্য মাত্রানুযায়ী ছত্রাকনাশক মিশিয়ে একটি বদ্ধ পাত্রে ৪৮ ঘন্টা রাখা আবশ্যক।

সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
সার প্রয়োগ প্রতি হেক্টরেঃ ইউরিয়াঃ ১৫০-১৮০ কেজি, টিএসপিঃ ১১০-১২০ কেজি, এমওপিঃ ৫০-৭০ কেজি, জিপসামঃ ৫৫ ও জিংক সালফেট ৫.৫-৬ কেজি ।

প্রয়োগের নিয়মঃ রোপার জন্য জমি তৈরীর শেষ চাষের আগে সম্পূর্ণ টিএসপি , এমওপি, জিপসাম ও জিংক সালফেট জমিতে সমভাবে ছিটিয়ে চাষের মাধ্যমে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া সারের এক-তৃতীয়াংশ পরিমাণ চারা রোপনের ৭-১০ দিন পর, এক-তৃতীয়াংশ ইউরিয়া পরিমাণ চারা রোপনের ১৫-২০ দিন পর এবং বাকি এক-তৃতীয়াংশ ইউরিয়া পরিমাণ চারা রোপনের ২০-২৫ দিন পর জমির উর্বরতার উপর নির্ভর করে প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার প্রয়োগের ২/১ দিন আগে জমির অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে হবে এবং প্রয়োজন হলে আগাছা দমন করতে হবে। জমির উর্বরতা ও ফসলের অবস্থার উপর নির্ভর করে ইউরিয়া সার প্রয়োগ মাত্রার তারতম্য করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে টিএসপি ও জিংক সালফেট সার একই সাথে প্রয়োগ করা যাবেনা। তাই এক্ষেত্রে একচাষ পূর্বে টিএসপি প্রয়োগ করতে হবে এবং শেষ চাষের সময় ইউরিয়া ছাড়া অন্যান্য সার ছিটিয়ে প্রয়োগ করা আবশ্যক।

সেচ ও নিষ্কাশনঃ স্বাভাবিক ভাবে আমন মৌসুমে বৃষ্টি নির্ভর অবস্থায় চাষ করা হয়। তবে দীর্ঘ অনাবৃষ্টির সময় ১-২ টি সম্পূরক সেচের প্রয়োজন হতে পারে ।

আগাছা দমন ও মালচিং: চারা রোপনের পর আগাছা দেখা দিলে নিড়ানী বা হাতের সাহায্যে আগাছা পরিষ্কার এবং মাটি নরম করে মালচিং করতে হবে ।

বালাইব্যবস্থাপনাঃ জমিতে মাজরা পোকা ও পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমন দেখা দিলে ক্লোরানট্রানিলিপ্রোল ও থায়মেনথক্সাম গ্রুপের ভিরতাকো ব্যবহার করা যেতে পারে। এ জাতটি পাতা পোড়া রোগ মধ্যম প্রতিরোধী। রোগবালাই যেমন- খোলপচাঁ দেখা দিলে হেক্সাকোনাজল বা ডাইফেনোকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক প্রতি একরে ২০০ মিলি মাত্রায় প্রয়োগ করা যেতে পারে। এছাড়া ব্লাস্ট রোগ দমনের জন্য ট্রুপার/ নাটিভো/ সেলটিমা একরে ১৬০ গ্রাম মাত্রায় প্রয়োগ করা যেতে পারে।

হেক্টর প্রতি ফলনঃ উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিচর্যায় গড় ফলন ৪.৮ টন/হেক্টর ও সর্বোচ ফলন ৫.৫ টন/হেক্টর ।

binadhan7


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন

ধান ফসল বিশেষজ্ঞ

(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)

কল করুনঃ +8801710763003

ই-মেইলঃ makazad.pbdbina@yahoo.com

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী

ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ

মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২


বিনা কৃষি প্রযুক্তি

জাতের নামঃ বিনাধান-১১

জাতের বৈশিষ্টঃ
o বিনাধান-১১ বন্যা সহিষ্ণু, স্বল্পমেয়াদি (জীবনকাল ১১০-১১৫) ও অধিক ফলনশীল আমন ধানের জাত।
o এ জাতটি ২৫ দিন পযর্ন্ত পানিতে সম্পূর্ন নিমজ্জিত অবস্থায় বেঁচে থাকতে পারে।দেশের আকস্মিক বন্যাপ্রবণ ও বন্যামুক্ত উভয় এলাকাতেই আমন মৌসুমে বন্যা সহিষ্ণু জাত চাষাবাদের উপযোগী।

জমি ও মাটিঃ দেশের বন্যাপ্রবণ ও বন্যামুক্ত উভয় এলাকাতেই আমন মৌসুমে এ জাতটি চাষের উপযোগী। তবে বন্যামুক্ত এলাকায় ফলন বেশি পাওয়া যায়। বেলে দো-আঁশ এবং এটেল দো-আঁশ জমি এ জাতটি চাষের উপযোগী।

জমি তৈরীঃ জাতটির চাষাবাদ পদ্ধতি অন্যান্য উফশী রোপা আমন জাতের মতই।

বপণের সময়ঃ জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ হতে জুলাই মাসের ২য় সপ্তাহের (১-৩০ আষাঢ়) মধ্যে বীজ তলায় বীজ বপনের উপযুক্ত সময়।

বীজ হারঃ প্রতি হেক্টর জমি চাষের জন্য ২৫-৩০ কেজি বা এক একর জমির জন্য ১০-১২ কেজি বীজ প্রয়োজন হয়।

বীজ শোধনঃ উপযুক্ত ফলন নিশ্চিত করতে হলে পুষ্ট ও রোগবালাই মুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে। প্রতি ১০ কেজি বীজ শোধনের জন্য ২৫ গ্রাম প্রোভ্যাক্স ব্যবহার করলে ভাল হয়।

সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
সারের মাত্রা (মূল জমি): হেক্টর প্রতি ১৫০-১৮০ কেজি ইউরিয়া, ১১০-১২০ কেজি টিএসপি এবং ৫০-৭০ কেজি এমওপি।
আকস্মিক বন্যায় ধানের জমি ডুবে গেলে সারের মাত্রা ও প্রয়োগ পদ্ধতি ভিন্নতর হবে। সেক্ষেত্রে জমি তৈরীর সময় নিম্নোক্ত পরিমান সার প্রয়োগ করতে হবে:
একর প্রতি ৫৫-৬০ কেজি টিএসপি, ১০-১৫কেজি এমওপি, ৮-১২কেজি জিপসাম এবং ৩.৫-৪.৫ কেজি দস্তা।
যদি ধান গাছের প্রাথমিক বৃদ্ধি পর্যায়ে বন্যা হয়, তাহলে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার ১০ দিন পরে প্রথম কিস্তিতে হেক্টর প্রতি ৪৫ কেজি (একরে ১৮ কেজি) ইউরিয়া সার এবং হেক্টর প্রতি ২৩ কেজি (একরে ৯ কেজি) এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে। প্রথম কিস্তির ২০-২৫ দিন পর হেক্টর প্রতি ৪৫ কেজি (একরে ১৮ কেজি) ইউরিয়া সার দ্বিতীয়বার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। তবে জমির উর্বরতা অনুযায়ী ইউরিয়া সারের মাত্রা কম-বেশি হতে পারে।

সেচ ও নিষ্কাশনঃ সেচের খুব একটা প্রয়োজন হয়না তবে প্রয়োজন হলে সেচ দিতে হবে। ধান পাকার ১০-১২ দিন আগে জমির পানি শুকিয়ে ফেলা ভাল।

আগাছা দমন ও মালচিং: চারা রোপনের পর আগাছা দেখা দিলে নিড়ানী বা হাতের সাহায্যে আগাছা পরিষ্কার এবং মাটি নরম করে মালচিং করতে হবে ।

বালাইব্যবস্থাপনাঃ এ জাতগুলোর রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়। তবে প্রয়োজনে বালাইনাশক প্রয়োগ করা উচিত। এ জাতটি মাজরা পোকার প্রতি মধ্যম প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। মাজরা পোকার আক্রমন হলে দানাদার কীটনাশক (মার্শাল ৬ জি/কুরটার ৫ জি) জমিতে স্প্রে করা যেতে পারে । খোল ঝলসানো বা সিথব্লাইট রোগ দেখা গেলে ফলিকুর (টেবুকোনাজল) বা স্কোর (ডাইফেনোকোনাজল) একর প্রতি ২০০ মিলি হারে ২০০ লিটার পানিতে মিশিয়ে থোর আসার সময় বা তার পরপরই স্প্রে করা যেতে পারে। এছাড়া ব্লাষ্ট রোগ দমনের জন্য ট্রুপার একর প্রতি ১৫০ মিলি হারে ২০০ লিটার পানিতে স্প্রে করা যেতে পারে। পোকামাকড় দমনের জন্য আইপিএম পদ্ধতিই সবচেয়ে ভাল ।

হেক্টর প্রতি ফলনঃ জলমগ্ন অবস্থায় ফলন ৪.৫ টন/ হেক্টর এবং বন্যামুক্ত জমিতে ফলন ৫.০-৫.৫ টন/হেক্টর।

binadhan11


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন

ধান ফসল বিশেষজ্ঞ

(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)

কল করুনঃ ০১৭১৬২৮০৭২১

ই-মেইলঃ sbluna98@yahoo.com.com

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী

ড. শামছুন্নহার বেগম

মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২


বিনা কৃষি প্রযুক্তি

জাতের নামঃ বিনাধান-১২

জাতের বৈশিষ্টঃ
o বিনাধান-১২ বন্যা সহিষ্ণু স্বল্পমেয়াদী ও অধিক ফলনশীল আমন ধানের জাত।
o জীবনকাল ১২৫-১৩০ দিন।
o এ জাতটি ২৫ দিন পযর্ন্ত পানিতে সম্পূর্ন নিমজ্জিত অবস্থায় বেঁচে থাকতে পারে।দেশের আকস্মিক বন্যাপ্রবণ ও বন্যামুক্ত উভয় এলাকাতেই আমন মৌসুমে বন্যা সহিষ্ণু জাত চাষাবাদের উপযোগী।

জমি ও মাটিঃ দেশের বন্যাপ্রবণ ও বন্যামুক্ত উভয় এলাকাতেই আমন মৌসুমে এ জাতটি চাষের উপযোগী। তবে বন্যামুক্ত এলাকায় ফলন বেশি পাওয়া যায়। বেলে দো-আঁশ এবং এটেল দো-আঁশ জমি এ জাতটি চাষের উপযোগী।

জমি তৈরীঃ জাতটির চাষাবাদ পদ্ধতি অন্যান্য উফশী রোপা আমন জাতের মতই।

বপণের সময়ঃ জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ হতে জুলাই মাসের ২য় সপ্তাহের (১-৩০ আষাঢ়) মধ্যে বীজ তলায় বীজ বপনের উপযুক্ত সময়।

বীজ হারঃ প্রতি হেক্টর জমি চাষের জন্য ২৫-৩০ কেজি বা এক একর জমির জন্য ১০-১২ কেজি বীজ প্রয়োজন হয়।

বীজ শোধনঃ উপযুক্ত ফলন নিশ্চিত করতে হলে পুষ্ট ও রোগবালাই মুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে। প্রতি ১০ কেজি বীজ শোধনের জন্য ২৫ গ্রাম প্রোভ্যাক্স ব্যবহার করলে ভাল হয়।

সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ সারের মাত্রা (মূল জমি): হেক্টর প্রতি ১৫০-১৮০ কেজি ইউরিয়া, ১১০-১২০ কেজি টিএসপি এবং ৫০-৭০ কেজি এমওপি। আকস্মিক বন্যায় ধানের জমি ডুবে গেলে সারের মাত্রা ও প্রয়োগ পদ্ধতি ভিন্নতর হবে। সেক্ষেত্রে জমি তৈরীর সময় নিম্নোক্ত পরিমান সার প্রয়োগ করতে হবে :
একর প্রতি ৫৫-৬০ কেজি টিএসপি, ১০-১৫ কেজি এমওপি, ৮-১২ কেজি জিপসাম এবং ৩.৫-৪.৫ কেজি দস্তা। যদি ধান গাছের প্রাথমিক বৃদ্ধি পর্যায়ে বন্যা হয়, তাহলে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার ১০ দিন পরে প্রথম কিস্তিতে হেক্টর প্রতি ৪৫ কেজি (একরে ১৮ কেজি) ইউরিয়া সার এবং হেক্টর প্রতি ২৩ কেজি (একরে ৯ কেজি) এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে। প্রথম কিস্তির ২০-২৫ দিন পর হেক্টর প্রতি ৪৫ কেজি (একরে ১৮ কেজি) ইউরিয়া সার দ্বিতীয়বার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। তবে জমির উর্বরতা অনুযায়ী ইউরিয়া সারের মাত্রা কম-বেশি হতে পারে।

সেচ ও নিষ্কাশনঃ সেচের খুব একটা প্রয়োজন হয়না তবে প্রয়োজন হলে সেচ দিতে হবে। ধান পাকার ১০-১২ দিন আগে জমির পানি শুকিয়ে ফেলা ভাল।

আগাছা দমন ও মালচিং: চারা রোপনের পর আগাছা দেখা দিলে নিড়ানী বা হাতের সাহায্যে আগাছা পরিষ্কার এবং মাটি নরম করতে হবে।

বালাইব্যবস্থাপনাঃ এ জাতগুলোর রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়। তবে প্রয়োজনে বালাইনাশক প্রয়োগ করা উচিত। এ জাতটি মাজরা পোকার প্রতি মধ্যম প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। মাজরা পোকার আক্রমন হলে দানাদার কীটনাশক (মার্শাল ৬ জি/কুরটার ৫ জি) জমিতে স্প্রে করা যেতে পারে । খোল ঝলসানো বা সিথব্লাইট রোগ দেখা গেলে ফলিকুর (টেবুকোনাজল) বা স্কোর (ডাইফেনোকোনাজল) একর প্রতি ২০০ মিলি হারে ২০০ লিটার পানিতে মিশিয়ে থোর আসার সময় বা তার পরপরই স্প্রে করা যেতে পারে। এছাড়া ব্লাষ্ট রোগ দমনের জন্য ট্রুপার একর প্রতি ১৫০ মিলি হারে ২০০ লিটার পানিতে স্প্রে করা যেতে পারে। পোকামাকড় দমনের জন্য আইপিএম পদ্ধতিই সবচেয়ে ভাল ।

হেক্টর প্রতি ফলনঃ জলমগ্ন অবস্থায় ফলন ৩.৫ টন/ হেক্টর এবং বন্যামুক্ত জমিতে ফলন ৪.৫-৫.০ টন/হেক্টর।

binadhan12


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন

ধান ফসল বিশেষজ্ঞ

(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)

কল করুনঃ ০১৭১৬২৮০৭২১

ই-মেইলঃ sbluna98@yahoo.com.com

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী

ড. শামছুন্নহার বেগম

মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২


বিনা কৃষি প্রযুক্তি

জাতের নামঃ বিনাধান-১৫

জাতের বৈশিষ্টঃ
o বিনাধান-১৫ স্বল্পমেয়াদী (জীবনকাল ১১৫-১২০ দিন)।
o দানা লম্বা এবং চিকন।
o জাতটি বিদেশে রপ্তানীযোগ্য এবং আলোক অসংবেদনশীল আমন মৌসুমে চাষাবাদ উপযোগী জাত ।

জমি ও মাটিঃ লবণাক্ত এলাকা ছাড়া দেশের সকল রোপা আমন অঞ্চল বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুর, বগুরা, পাবনা, রাজশাহীসহ ঢাকা, কুমিল্লা, যশোর, কুষ্টিয়া ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে জাতটির অধিক ফলন পাওয়া যায়। বেলে দো-আঁশ এবং এটেল দো-আঁশ জমি এ জাতটি চাষের উপযোগী।

জমি তৈরীঃ জাতটির চাষাবাদ পদ্ধতি অন্যান্য উফশী রোপা আমন জাতের মতই।

বপণের সময়ঃ জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ হতে জুলাই মাসের ২য় সপ্তাহের (১-৩০ আষাঢ়) মধ্যে বীজ তলায় বীজ বপনের উপযুক্ত সময়।

বীজ হারঃ প্রতি হেক্টর জমি চাষের জন্য ২৫-৩০ কেজি বা এক একর জমির জন্য ১০-১২ কেজি বীজ প্রয়োজন হয়।

বীজ শোধনঃ উপযুক্ত ফলন নিশ্চিত করতে হলে পুষ্ট ও রোগবালাই মুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে। প্রতি ১০ কেজি বীজ শোধনের জন্য ২৫ গ্রাম প্রোভ্যাক্স ব্যবহার করলে ভাল হয়।

সার ও প্রয়োগ পদ্ধতি (প্রতি হেক্টরে):
বীজতলার জন্য:
উর্বর ও স্বল্প উর্বর জমিতে বীজতলা তৈরী করলে কোন রূপ সার প্রয়োজন হয়না। অনুর্বর ও স্বল্প উর্বর জমিতে কেবল দুই কেজি পঁচা গোবর বা আবর্জনা সার প্রয়োগ করলেই চলে। চারা গজানোর পর গাছ হলুদ হয়ে গেলে দু’সপ্তাহ পর প্রতিবর্গ মিটারে ৭ গ্রাম ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগের পর জমি থেকে পানি নিষ্কাশণ করা যাবেনা।
রোপা ক্ষেতের জন্য:
ইউরিয়াঃ ১৪০-১৬০ কেজি, টিএসপিঃ ১০০-১২০ কেজি, এমওপিঃ ৬০-৮০ কেজি, জিপসামঃ ৫০-৬০ কেজি ও দস্তা ১.০-৫.০ কেজি।
প্রয়োগের নিয়মঃ রোপার জন্য জমি তৈরীর শেষ চাষের আগে সম্পূর্ণ টিএসপিএবং এমওপি জমিতে সমভাবে ছিটিয়ে চাষের মাধ্যমে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া সারের অর্ধেক পরিমাণ চারা রোপনের ৭-৮ দিন পর, এবং বাকি অর্ধেক ২০-২৫ দিন পর জমির উর্বরতার উপর নির্ভর করে প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার প্রয়োগের ২/১ দিন আগে জমির অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে হবে এবং প্রয়োজন হলে আগাছা দমন করতে হবে। জমির উর্বরতা ও ফসলের অবস্থার উপর নির্ভর করে ইউরিয়া সার প্রয়োগমাত্রার তারতম্য করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে টিএসপি ও দস্তা সার একই সাথে প্রয়োগ করা যাবেনা। তাই এক্ষেত্রে এক চাষ পূর্বে টিএসপি প্রয়োগ করতে হবে এবং শেষ চাষের সময় ইউরিয়া ছাড়া অন্যান্য সার ছিটিয়ে প্রয়োগ করা অবশ্যক।

সেচ ও নিষ্কাশনঃ সেচের খুব একটা প্রয়োজন হয়না তবে প্রয়োজন হলে সেচ দিতে হবে। ধান পাকার ১০-১২ দিন আগে জমির পানি শুকিয়ে ফেলা ভাল।

আগাছা দমন ও মালচিং: চারা রোপনের পর আগাছা দেখা দিলে নিড়ানী বা হাতের সাহায্যে আগাছা পরিষ্কার এবং মাটি নরম করতে হবে ।

বালাইব্যবস্থাপনাঃ এ জাতগুলোর রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়। তবে প্রয়োজনে বালাইনাশক প্রয়োগ করা উচিত। এ জাতটি মাজরা পোকার প্রতি মধ্যম প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। মাজরা পোকার আক্রমন হলে দানাদার কীটনাশক (মার্শাল ৬ জি/কুরটার ৫ জি) জমিতে স্প্রে করা যেতে পারে । খোল ঝলসানো বা সিথব্লাইট রোগ দেখা গেলে ফলিকুর (টেবুকোনাজল) বা স্কোর (ডাইফেনোকোনাজল) একর প্রতি ২০০ মিলি হারে ২০০ লিটার পানিতে মিশিয়ে থোর আসার সময় বা তার পরপরই স্প্রে করা যেতে পারে। এছাড়া ব্লাষ্ট রোগ দমনের জন্য ট্রুপার একর প্রতি ১৫০ মিলি হারে ২০০ লিটার পানিতে স্প্রে করা যেতে পারে। পোকামাকড় দমনের জন্য আইপিএম পদ্ধতিই সবচেয়ে ভাল ।

হেক্টর প্রতি ফলনঃ ৪.৫-৫.০ টন/হেক্টর।

binadhan15


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন

ধান ফসল বিশেষজ্ঞ

(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)

কল করুনঃ ০১৭১৬২৮০৭২১

ই-মেইলঃ sbluna98@yahoo.com.com

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী

ড. শামছুন্নহার বেগম

মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২


বিনা কৃষি প্রযুক্তি

জাতের নামঃ বিনাধান-১৬

জাতের বৈশিষ্টঃ
o বিনাধান-১৬, স্বল্পমেয়াদী ও অধিক ফলনশীল আমন ধানের জাত।
o জীবনকাল ১০০-১০৫ দিন
o চাল লম্বাটে ও চিকন। ধান ঝরে পড়ে না ।

জমি ও মাটিঃ লবণাক্ত এলাকা ছাড়া দেশের সকল রোপা আমন অঞ্চল বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুর, বগুরা, পাবনা, রাজশাহীসহ ঢাকা, কুমিল্লা, যশোর, কুষ্টিয়া ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে জাতটির অধিক ফলন পাওয়া যায়। বেলে দো-আঁশ এবং এটেল দো-আঁশ জমি এ জাতটি চাষের উপযোগী।

জমি তৈরীঃ জাতটির চাষাবাদ পদ্ধতি অন্যান্য উফশী রোপা আমন জাতের মতই।

বপণের সময়ঃ জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ হতে জুলাই মাসের ২য় সপ্তাহের (১-৩০ আষাঢ়) মধ্যে বীজ তলায় বীজ বপনের উপযুক্ত সময়।

বীজ হারঃ প্রতি হেক্টর জমি চাষের জন্য ২৫-৩০ কেজি বা এক একর জমির জন্য ১০-১২ কেজি বীজ প্রয়োজন হয়।

বীজ শোধনঃ উপযুক্ত ফলন নিশ্চিত করতে হলে পুষ্ট ও রোগবালাই মুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে। প্রতি ১০ কেজি বীজ শোধনের জন্য ২৫ গ্রাম প্রোভ্যাক্স ব্যবহার করলে ভাল হয়।

সার ও প্রয়োগ পদ্ধতি (প্রতি হেক্টরে):
বীজতলার জন্য:
উর্বর ও স্বল্প উর্বর জমিতে বীজতলা তৈরী করলে কোন রূপ সার প্রয়োজন হয়না। অনুর্বর ও স্বল্প উর্বর জমিতে কেবল দুই কেজি পঁচা গোবর বা আবর্জনা সার প্রয়োগ করলেই চলে। চারা গজানোর পর গাছ হলুদ হয়ে গেলে দু’সপ্তাহ পর প্রতিবর্গ মিটারে ৭ গ্রাম ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগের পর জমি থেকে পানি নিষ্কাশণ করা যাবেনা।
রোপা ক্ষেতের জন্য:
ইউরিয়াঃ ১৪০-১৬০ কেজি, টিএসপিঃ ১০০-১২০ কেজি, এমওপিঃ ৬০-৮০ কেজি, জিপসামঃ ৫০-৬০ কেজি ও দস্তাঃ ১.০-৫.০ কেজি।
প্রয়োগের নিয়মঃ রোপার জন্য জমি তৈরীর শেষ চাষের আগে সম্পূর্ণ টিএসপিএবং এমওপি জমিতে সমভাবে ছিটিয়ে চাষের মাধ্যমে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া সারের অর্ধেক পরিমাণ চারা রোপনের ৭-৮ দিন পর, এবং বাকি অর্ধেক ২০-২৫ দিন পর জমির উর্বরতার উপর নির্ভর করে প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার প্রয়োগের ২/১ দিন আগে জমির অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে হবে এবং প্রয়োজন হলে আগাছা দমন করতে হবে। জমির উর্বরতা ও ফসলের অবস্থার উপর নির্ভর করে ইউরিয়া সার প্রয়োগমাত্রার তারতম্য করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে টিএসপি ও দস্তা সার একই সাথে প্রয়োগ করা যাবেনা। তাই এক্ষেত্রে এক চাষ পূর্বে টিএসপি প্রয়োগ করতে হবে এবং শেষ চাষের সময় ইউরিয়া ছাড়া অন্যান্য সার ছিটিয়ে প্রয়োগ করা অবশ্যক।

সেচ ও নিষ্কাশনঃ সেচের খুব একটা প্রয়োজন হয়না তবে প্রয়োজন হলে সেচ দিতে হবে। ধান পাকার ১০-১২ দিন আগে জমির পানি শুকিয়ে ফেলা ভাল।

আগাছা দমন ও মালচিং: চারা রোপনের পর আগাছা দেখা দিলে নিড়ানী বা হাতের সাহায্যে আগাছা পরিষ্কার এবং মাটি নরম করতে হবে ।

বালাইব্যবস্থাপনাঃ এ জাতগুলোর রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়। তবে প্রয়োজনে বালাইনাশক প্রয়োগ করা উচিত। এ জাতটি মাজরা পোকার প্রতি মধ্যম প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। মাজরা পোকার আক্রমন হলে দানাদার কীটনাশক (মার্শাল ৬ জি/কুরটার ৫ জি) জমিতে স্প্রে করা যেতে পারে । খোল ঝলসানো বা সিথব্লাইট রোগ দেখা গেলে ফলিকুর (টেবুকোনাজল) বা স্কোর (ডাইফেনোকোনাজল) একর প্রতি ২০০ মিলি হারে ২০০ লিটার পানিতে মিশিয়ে থোর আসার সময় বা তার পরপরই স্প্রে করা যেতে পারে। এছাড়া ব্লাষ্ট রোগ দমনের জন্য ট্রুপার একর প্রতি ১৫০ মিলি হারে ২০০ লিটার পানিতে স্প্রে করা যেতে পারে। পোকামাকড় দমনের জন্য আইপিএম পদ্ধতিই সবচেয়ে ভাল ।

হেক্টর প্রতি ফলনঃ গড় ফলন ৫.৬ টন/হেক্টর ।

binadhan16


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন

ধান ফসল বিশেষজ্ঞ

(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)

কল করুনঃ ০১৭১৬২৮০৭২১

ই-মেইলঃ sbluna98@yahoo.com.com

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী

ড. শামছুন্নহার বেগম

মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২


বিনা কৃষি প্রযুক্তি

জাতের নামঃ বিনাধান-১৭

জাতের বৈশিষ্টঃ
o বিনাধান-১৭ খরা সহিষ্ণু (৩০% পানি কম প্রয়োজন), স্বল্পমেয়াদী (জীবনকাল ১১২-১১৮ দিন) ও অধিক ফলনশীল।
o সার কম লাগে, আলোক অসংবেদনশীল ও উন্নত গুনাগুন সম্পন্ন আমন ধানের জাত ।

জমি ও মাটিঃ লবণাক্ত এলাকা ছাড়া দেশের সকল রোপা আমন অঞ্চল বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, পাবনা, রাজশাহীসহ ঢাকা, কুমিল্লা, যশোর, কুষ্টিয়া ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে জাতটির অধিক ফলন পাওয়া যায়।

জমি তৈরীঃ জাতটির চাষাবাদ পদ্ধতি অন্যান্য উফশী রোপা আমন জাতের মতই।

বপণের সময়ঃ জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ হতে জুলাই মাসের ২য় সপ্তাহের (১-৩০ আষাঢ়) মধ্যে বীজ তলায় বীজ বপনের উপযুক্ত সময়।

বীজ হারঃ প্রতি হেক্টর জমি চাষের জন্য ২৫-৩০ কেজি বা এক একর জমির জন্য ১০-১২ কেজি বীজ প্রয়োজন হয়।

বীজ শোধনঃ উপযুক্ত ফলন নিশ্চিত করতে হলে পুষ্ট ও রোগবালাই মুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে। প্রতি ১০ কেজি বীজ শোধনের জন্য ২৫ গ্রাম প্রোভ্যাক্স ব্যবহার করলে ভাল হয়।

সার ও প্রয়োগ পদ্ধতি ( প্রতি হেক্টরে) :
বীজতলার জন্য:
উর্বর ও স্বল্প উর্বর জমিতে বীজতলা তৈরী করলে কোন রূপ সার প্রয়োজন হয়না। অনুর্বর ও স্বল্প উর্বর জমিতে কেবল দুই কেজি পঁচা গোবর বা আবর্জনা সার প্রয়োগ করলেই চলে। চারা গজানোর পর গাছ হলুদ হয়ে গেলে দু’সপ্তাহ পর প্রতিবর্গ মিটারে ৭ গ্রাম ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগের পর জমি থেকে পানি নিষ্কাশণ করা যাবে না।
রোপা ক্ষেতের জন্য:
ইউরিয়াঃ ১২০-১৫০ কেজি, টিএসপিঃ ৮০-১০০ কেজি, এমওপিঃ ৩০-৩৫ কেজি, জিপসামঃ ২৫-৩৫ কেজি ও দস্তাঃ ১.০-৪.০ কেজি। প্রয়োগের নিয়মঃ রোপার জন্য জমি তৈরীর শেষ চাষের আগে সম্পূর্ণ টিএসপিএবং এমওপি জমিতে সমভাবে ছিটিয়ে চাষের মাধ্যমে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া সারের অর্ধেক পরিমাণ চারা রোপনের ৭-৮ দিন পর, এবং বাকি অর্ধেক ২০-২৫ দিন পর জমির উর্বরতার উপর নির্ভর করে প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার প্রয়োগের ২/১ দিন আগে জমির অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে হবে এবং প্রয়োজন হলে আগাছা দমন করতে হবে। জমির উর্বরতা ও ফসলের অবস্থার উপর নির্ভর করে ইউরিয়া সার প্রয়োগমাত্রার তারতম্য করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে টিএসপি ও দস্তা সার একই সাথে প্রয়োগ করা যাবেনা। তাই এক্ষেত্রে এক চাষ পূর্বে টিএসপি প্রয়োগ করতে হবে এবং শেষ চাষের সময় ইউরিয়া ছাড়া অন্যান্য সার ছিটিয়ে প্রয়োগ করা অবশ্যক।

সেচ ও নিষ্কাশনঃ সেচের খুব একটা প্রয়োজন হয়না তবে প্রয়োজন হলে সেচ দিতে হবে। ধান পাকার ১০-১২ দিন আগে জমির পানি শুকিয়ে ফেলা ভাল।

আগাছা দমন ও মালচিং: চারা রোপনের পর আগাছা দেখা দিলে নিড়ানী বা হাতের সাহায্যে আগাছা পরিষ্কার এবং মাটি নরম করতে হবে ।

বালাইব্যবস্থাপনাঃ এ জাতগুলোর রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়। তবে প্রয়োজনে বালাইনাশক প্রয়োগ করা উচিত। এ জাতটি মাজরা পোকার প্রতি মধ্যম প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। মাজরা পোকার আক্রমন হলে দানাদার কীটনাশক (মার্শাল ৬ জি/কুরটার ৫ জি) জমিতে সেপ্র করা যেতে পারে । খোল ঝলসানো বা সিথব্লাইট রোগ দেখা গেলে ফলিকুর (টেবুকোনাজল) বা স্কোর (ডাইফেনোকোনাজল) একর প্রতি ২০০ মিলি হারে ২০০ লিটার পানিতে মিশিয়ে থোর আসার সময় বা তার পরপরই স্প্রে করা যেতে পারে। এছাড়া ব্লাষ্ট রোগ দমনের জন্য ট্রুপার একর প্রতি ১৫০ মিলি হারে ২০০ লিটার পানিতে সেপ্র করা যেতে পারে। পোকামাকড় দমনের জন্য আইপিএম পদ্ধতিই সবচেয়ে ভাল ।

হেক্টর প্রতি ফলনঃ গড় ফলন ৬.৮ টন/হেক্টর এবং সর্বোচ্চ ফলন ৮.০ টন/হেক্টর ।

binadhan17


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন

ধান ফসল বিশেষজ্ঞ

(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)

কল করুনঃ ০১৭১৬২৮০৭২১

ই-মেইলঃ sbluna98@yahoo.com.com

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী

ড. শামছুন্নহার বেগম

মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২


বিনা কৃষি প্রযুক্তি

জাতের নামঃ বিনাধান-২০

জাতের বৈশিষ্টঃ
o জিংক সমৃদ্ধ ধান, আকাড়া চালে ২৬.৫ পিপিএম জিঙ্ক বিদ্যমান।
o ২০-৩১ পিপিএম আয়রণ বিদ্যমান।
o জীবনকাল-১২৫-১৩০ দিন।
o বাদামী গাছ ফড়িং এর প্রতি মধ্যম মাত্রায় প্রতিরোধী।
o চালের রং লালচে লম্বা ও চিকন।

জমি ও মাটিঃ বেলে দো-আঁশ এবং এটেল দো-আঁশ জমি এই জাতের চাষের উপযোগী।

জমি তৈরীঃ জাতটির চাষাবাদ পদ্ধতি অন্যান্য উফশী রোপা আমন জাতের মতই।

বপন ও রোপণের সময়ঃ খরিফ-২ মৌসুমে অঞ্চলভেদে জুন মাসের শেষ সপ্তাহ হতে মধ্য জুলাই (আষাঢ়ের ২য় সপ্তাহ হতে শেষ সপ্তাহ) পর্যন্ত বীজতলায় বীজ ফেলে ৩০-৩৫ দিনের চারা জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ হতে আগষ্ট মাসের শেষ সপ্তাহ অর্থাৎ শ্রাবণের দ্বিতীয় সপ্তাহ হতে ভাদ্র মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোপণ করলে ফলন ভালো পাওয়া যায়।

বীজ হারঃ প্রতি হেক্টর জমি চাষের জন্য ২৫-৩০ কেজি বা এক একর জমির জন্য ১০-১২ কেজি বীজ প্রয়োজন হয় ।

বীজ শোধনঃ প্রতি ১০ কেজি বীজে ২০-২৫ গ্রাম প্রোভ্যাক্স বা ব্যাভিস্টিন ব্যবহার করা যেতে পারে। বীজ শোধনের জন্য মাত্রানুযায়ী ছত্রাকনাশক মিশিয়ে একটি বদ্ধ পাত্রে ৪৮ ঘন্টা রাখা আবশ্যক ।

সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
সার প্রয়োগ হেক্টর প্রতি ১৯৫ কেজি ইউরিয়া, ৫০ কেজি টিএসপি, ৭০ কেজি এমওপি এবং ৫৫ কেজি জিপসাম, জিংক সালফেট ৫.৫-৬ কেজি।

প্রয়োগের নিয়মঃ প্রয়োগের নিয়মঃ রোপার জন্য জমি তৈরীর শেষ চাষের আগে সম্পূর্ণ টিএসপি , এমওপি, জিপসাম ও জিংক সালফেট জমিতে সমভাবে ছিটিয়ে চাষের মাধ্যমে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া সারের এক-তৃতীয়াংশ পরিমাণ চারা রোপনের ৭-১০ দিন পর, এক-তৃতীয়াংশ ইউরিয়া পরিমাণ চারা রোপনের ১৫-২০ দিন পর এবং বাকি এক-তৃতীয়াংশ ইউরিয়া পরিমাণ চারা রোপনের ২০-২৫ দিন পর জমির উর্বরতার উপর নির্ভর করে প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার প্রয়োগের ২/১ দিন আগে জমির অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে হবে এবং প্রয়োজন হলে আগাছা দমন করতে হবে। জমির উর্বরতা ও ফসলের অবস্থার উপর নির্ভর করে ইউরিয়া সার প্রয়োগ মাত্রার তারতম্য করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে টিএসপি ও জিংক সালফেট সার একই সাথে প্রয়োগ করা যাবেনা। তাই এক্ষেত্রে একচাষ পূর্বে টিএসপি প্রয়োগ করতে হবে এবং শেষ চাষের সময় ইউরিয়া ছাড়া অন্যান্য সার ছিটিয়ে প্রয়োগ করা আবশ্যক।

সেচ ও নিষ্কাশনঃ স্বাভাবিক ভাবে আমন মৌসুমে বৃষ্টি নির্ভর অবস্থায় চাষ করা হয়। তবে দীর্ঘ অনাবৃষ্টির সময় ১-২ টি সম্পূরক সেচের প্রয়োজন হতে পারে ।

আগাছা দমন ও মালচিং: চারা রোপনের পর আগাছা দেখা দিলে নিড়ানী বা হাতের সাহায্যে আগাছা পরিষ্কার এবং মাটি নরম করে মালচিং করতে হবে ।

বালাইব্যবস্থাপনাঃ জমিতে মাজরা পোকা ও পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমন দেখা দিলে ক্লোরানট্রানিলিপ্রোল ও থায়মেনথক্সাম গ্রুপের ভিরতাকো ব্যবহার করা যেতে পারে। এ জাতটি পাতা পোড়া রোগ মধ্যম প্রতিরোধী। রোগবালাই যেমন- খোলপচাঁ দেখা দিলে হেক্সাকোনাজল বা ডাইফেনোকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক প্রতি একরে ২০০ মিলি মাত্রায় প্রয়োগ করা যেতে পারে। এছাড়া ব্লাস্ট রোগ দমনের জন্য ট্রুপার/ নাটিভো/ সেলটিমা একরে ১৬০ গ্রাম মাত্রায় প্রয়োগ করা যেতে পারে।

হেক্টর প্রতি ফলনঃ উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিচর্যায় গড় ফলন ৪.৫ টন/হেক্টর ও সর্বোচ ফলন ৫.৫ টন/হেক্টর ।

binadhan20


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন

ধান ফসল বিশেষজ্ঞ

(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)

কল করুনঃ +8801710763003

ই-মেইলঃ makazad.pbdbina@yahoo.com

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী

ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ

মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২


বিনা কৃষি প্রযুক্তি

জাতের নামঃ বিনাধান-১৩

জাতের বৈশিষ্টঃ
o পরিপক্ক অবস্থায় গাছের পাতা সবুজ থাকে।
o শীষের প্রায় সবগুলো দানাই পুষ্ট হয়।
o গাছ হেলে পড়ে না।
o ধান সূগন্ধি, উজ্জল কালো বর্ণের, বীজাবরণ শক্ত ও পুরু।
o গাছের উচ্চতা ১৪০-১৪৫ সে. মি.।
o ১০০০ ধানের ওজন ১৩.২ গ্রাম।

জমি ও মাটিঃ দেশের প্রায় সকল রোপা আমন অঞ্চলে উচুঁ বা যেসব জমিতে সব সময় পানি জমে থাকে না এমন জমিতে এ জাতটি চাষ করা যায়। বেলে দো-আঁশ এবং এটেল দো-আঁশ জমি বিনাধান-১৩ চাষের উপযোগী।

জমি তৈরীঃ অন্যান্য রোপা আমন ধান চাষের মতই জমি তৈরী করতে হবে।

বপণের সময়ঃ আষাঢ়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে শেষ সপ্তাহ (মধ্য জুন থেকে মধ্য জুলাই) থেকে বীজতলা তৈরী করে ৩০-৩৫দিন বয়সের চারা রোপন করতে হবে। জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রোপনের উপযুক্ত সময়।

বীজ হারঃ প্রতি শতাংশ বা ২০০ বর্গমিটার বীজতলায় ৬ কেজি বীজ বপন করলে উৎপন্ন চারায় প্রায় ১ একর জমি রোপন করা যায়।

বীজ শোধনঃ প্রতি ১০ কেজি বীজে ২৫ গ্রাম প্রোভ্যাক্স বা ব্যাভিস্টিন ব্যবহার করা যেতে পারে।

সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
বীজতলার জন্য প্রতি একরে ইউরিয়া ২৬, টিএসপি ১৪ এবং এমওপি ২০ কেজি এবং রোপা ক্ষেতের জন্য ইউরিয়া ৬৬, টিএসপি ৩৫, এমওপি ৫০ কেজি, জিপসাম ৩৮ এবং দস্তা সার ১.৭ কেজি প্রয়োগ করতে হবে। শেষ চাষের সময় সম্পূর্ণ পরিমান টিএসপি, এমওপি, জিপসাম ও দস্তাসার জমিতে প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া চারা রোপনের পর তিন ধাপে প্রয়োগ করতে হবে। প্রথম কিস্তি রোপনের ৮-১০ দিন, দ্বিতীয় কিস্তি রোপনের ২৫-৩০ দিন এবং তৃতীয় কিস্তি রোপনের ৫০-৫৫ দিন পর উপরি প্রয়োগ করতে হবে। এলাকা ও জমির উর্বরতার উপর নির্ভর করে ইউরিয়া সারের তারতম্য করা যেতে পারে। অত্যধিক উর্বর জমিতে ইউরিয়া সার প্রয়োগের দরকার নেই।

সেচ ও নিষ্কাশনঃ এ জাতটি বৃষ্টির পানিতেই চাষাবাদ করা যায়। তবে পানির খুব বেশি অভাব দেখা দিলে সেচের প্রয়োজন হতে পারে।

আগাছা দমন ও মালচিং: বিনাধান-১৩ জাতটির পরিচর্যা অন্যান্য স্থানীয় জাতের মতই। চারা রোপনের পর আগাছা দেখা দিলে নিড়ানী যন্ত্র বা হাতের সাহায়্যে আগাছা পরিস্কার ও মাটি নরম করতে হবে।

বালাইব্যবস্থাপনাঃ এ জাতটির পাতা পোড়া ও খোল পচাঁ রোগের আক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে বেশি। এছাড়া এটি প্রায় সব ধরনের পোকার আক্রমণ মোটামুটি ভালভাবে প্রতিরোধ করতে পারে।

হেক্টর প্রতি ফলনঃ ফলন হেক্টর প্রতি ৩.২-৩.৫ টন।

binadhan13


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন

ধান ফসল বিশেষজ্ঞ

(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)

কল করুনঃ +8801710879813

ই-মেইলঃ islamtariqul05@yahoo.com

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী

ড. মো. তারিকুল ইসলাম

প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

ক্রপ ফিজিলজি বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২


বিনা কৃষি প্রযুক্তি

জাতের নামঃ বিনাধান-২২

জাতের বৈশিষ্টঃ
o উচ্চ ফলনশীল, স্বল মেয়াদি (জীবনকাল ১১২-১১৫ দিন), আলোক অসংবেদনশীল এবং লম্বা ও চিকন দানা বিশিষ্ট ।
o ধান পরিপক্কতা অবস্থায়ও ডিগপাতা গাড় সবুজ ও খাড়া থাকে।
o গাছ শক্ত বলে মোটেই হেলে পড়ে না। পূর্ণ বয়স্ক গাছ ৯১-৯৫ সে. মি. লম্বা।

জমি ও মাটিঃ লবণাক্ত এলাকা ছাড়া দেশের সকল রোপা আমন অঞ্চল বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুর, বগুরা, পাবনা, রাজশাহীসহ ঢাকা, কুমিল্লা, যশোর, কুষ্টিয়া , পার্বত্য অঞ্চল ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে জাতটির অধিক ফলন পাওয়া যায়।

জমি তৈরীঃ জাতটির চাষাবাদ পদ্ধতি অন্যান্য উফশী রোপা আমন জাতের মতই।

বপণের সময়ঃ জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ হতে জুলাই মাসের ২য় সপ্তাহের (১-৩০ আষাঢ়) মধ্যে বীজ তলায় বীজ বপনের উপযুক্ত সময়।

বীজ হারঃ প্রতি হেক্টর জমি চাষের জন্য ২৫-৩০ কেজি বা এক একর জমির জন্য ১০-১২ কেজি বীজ প্রয়োজন হয়।

বীজ শোধনঃ উপযুক্ত ফলন নিশ্চিত করতে হলে পুষ্ট ও রোগবালাই মুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে। প্রতি ১০ কেজি বীজ শোধনের জন্য ২৫ গ্রাম ভিটাভ্যাক্স-২০০ ব্যবহার করলে ভাল হয়।

সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
বীজতলার জন্য : উর্বর ও স্বল্প উর্বর জমিতে বীজতলা তৈরী করলে কোন রূপ সার প্রয়োজন হয়না। অনুর্বর ও স্বল্প উর্বর জমিতে কেবল দুই কেজি পঁচা গোবর বা আবর্জনা সার প্রয়োগ করলেই চলে। চারা গজানোর পর গাছ হলুদ হয়ে গেলে দু’সপ্তাহ পর প্রতিবর্গ মিটারে ৭ গ্রাম ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগের পর জমি থেকে পানি নিষ্কাশণ করা যাবেনা। প্রতি হেক্টরেঃ ইউরিয়াঃ ১০০-১২০ কেজি, টিএসপিঃ ৮০-১০০ কেজি, এমওপিঃ ৩০-৩৫ কেজি, জিপসামঃ ২৫-৩৫ কেজি ও দস্তাঃ ১.০-৩.০ কেজি।
প্রয়োগের নিয়মঃ রোপার জন্য জমি তৈরীর শেষ চাষের আগে সম্পূর্ণ টিএসপিএবং অর্ধেক এমওপি জমিতে সমভাবে ছিটিয়ে চাষের মাধ্যমে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া সার অর্ধেক ও এমওপি সারের এক চতুর্থাংশ পরিমাণ চারা রোপনের ১০-১২ দিন পর, এবং বাকি অর্ধেক ইউরিয়া ও এমওপি সারের অবশিষ্ট এক চতুর্থাংশ ২৫-৩০ দিন পর জমির উর্বরতার উপর নির্ভর করে প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার প্রয়োগের ২/১ দিন আগে জমির অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে হবে এবং প্রয়োজন হলে আগাছা দমন করতে হবে। জমির উর্বরতা ও ফসলের অবস্থার উপর নির্ভর করে ইউরিয়া সার প্রয়োগমাত্রার তারতম্য করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে টিএসপি ও দস্তা সার একই সাথে প্রয়োগ করা যাবেনা। তাই এক্ষেত্রে এক চাষ পূর্বে টিএসপি প্রয়োগ করতে হবে এবং শেষ চাষের সময় ইউরিয়া ছাড়া অন্যান্য সার ছিটিয়ে প্রয়োগ করা অবশ্যক।

সেচ ও নিষ্কাশনঃ সেচের খুব একটা প্রয়োজন হয়না, তবে প্রয়োজন হলে সেচ দিতে হবে। ধান পাকার ১০-১২ দিন আগে জমির পানি শুকিয়ে ফেলা ভাল।

আগাছা দমন ও মালচিং: চারা রোপনের পর আগাছা দেখা দিলে নিড়ানী বা হাতের সাহায্যে আগাছা পরিষ্কার এবং মাটি নরম করতে হবে ।

বালাইব্যবস্থাপনাঃ এ জাতের রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়। তবে প্রয়োজনে বালাইনাশক প্রয়োগ করা উচিত। এ জাতটি মাজরা পোকার প্রতি মধ্যম প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। মাজরা পোকার আক্রমন এর সম্ভাবনা থাকলে দানাদার কীটনাশক (রাজধান-১০জি) প্রথম কিস্তি ইউরিয়া সারের সাথে মিশিয়ে ছিটিয়ে দিতে হবে । তবে যদি মাজরা পোকা আক্রমন হয়েই থাকে সেক্ষেত্রে ভিরতাকো স্প্রে করতে হবে। বাদামি গাছ ফড়িং (BHP) আক্রমন করলে কারটাপ জাতীয় সপসিন/মিপসিন স্প্রে করতে হবে। ব্যাকটরিয়াল লিফ ব্লাইট এর লক্ষণ দেখা দিলে বিসমার্থিওজল গুপের (ব্যাকট্রেল) ২ গ্রাম/লিটার হিসেবে স্প্রে করতে হবে। এছাড়া ব্লাস্ট রোগ দমনের জন্য ট্রুপার একর প্রতি ১৫০ মিলি হারে ২০০ লিটার পানিতে স্প্রে করা যেতে পারে। খোল ঝলসানো বা সিথব্লাইট রোগ দেখা গেলে ফলিকুর (টেবুকোনাজল) বা স্কোর (ডাইফেনোকোনাজল) একর প্রতি ২০০ মিলি হারে ২০০ লিটার পানিতে মিশিয়ে থোর আসার সময় বা তার পরপরই স্প্রে করা যেতে পারে। পোকামাকড় দমনের জন্য আইপিএম পদ্ধতিই সবচেয়ে ভাল ।

হেক্টর প্রতি ফলনঃ গড় ফলন ৬.১ টন এবং সর্বোচ্চ ফলন ৬.৫ টন ।

binadhan22


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন

ধান ফসল বিশেষজ্ঞ

(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)

কল করুনঃ +8801756926680

ই-মেইলঃ imtiaz_bina@yahoo.com

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী

ড. মোঃ ইমতিয়াজ উদ্দিন

মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

বায়োটেকনোলজি বিভাগ, বিনা,

ময়মনসিংহ-২২০২


বিনা কৃষি প্রযুক্তি

জাতের নামঃ বিনাধান-২৩

জাতের বৈশিষ্ট্য:
o স্বল্পমেয়াদী (জীবনকাল ১১৫-১২৫ দিন) ও অধিক ফলনশীল ।
o আলোক অসংবেদনশীল, দেশের জোয়ারভাটা, লবণাক্ততা ও বন্যা কবলিত এলাকার জন্য উপযোগী আমন মৌসুমে চাষোপযোগী।
o পরিপক্ক অবস্থায় জাতটি ৮ ডিএস/মি মাত্রার লবণাক্ততা ও ১৫ দিন পর্যন্ত জলমগ্নতা সহ্য করতে পারে।
o ধানের চাল মাঝারি চিকন।

জমি ও মাটিঃ মাঝারি-উচুঁ থেকে নিচু জমি এ ধানের চাষের জন্য উপযুক্ত।লবণাক্ত ও বন্যা কবলিত এলাকাসহ দেশের জোয়ারভাটা কবলিত অঞ্চলে বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকা বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম জেলায় চাষোপযোগী।

জমি তৈরীঃ জাতটির চাষাবাদ পদ্ধতি অন্যান্য উফশী রোপা আমন জাতের মতই।

বপণের সময়ঃ জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ হতে জুলাই মাসের ২য় সপ্তাহের (১-৩০ আষাঢ়) মধ্যে বীজ তলায় বীজ বপনের উপযুক্ত সময়।

বীজ হারঃ প্রতি হেক্টর জমি চাষের জন্য ২৫-৩০ কেজি বা এক একর জমির জন্য ১০-১২ কেজি বীজ প্রয়োজন হয়।

বীজ শোধনঃ উপযুক্ত ফলন নিশ্চিত করতে হলে পুষ্ট ও রোগবালাই মুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে। প্রতি ১০ কেজি বীজ শোধনের জন্য ২৫ গ্রাম ভিটাভ্যাক্স-২০০ ব্যবহার করলে ভাল হয়।

সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
বীজতলার জন্য উর্বর জমিতে বীজতলা তৈরী করলে কোনরূপ সার প্রয়োজন হয়না। অনুর্বর ও স্বল্প উর্বর জমিতে প্রতিবর্গ মিটারে ১.৫-২.০ কেজি গোবর বা কম্পোষ্ট সার প্রয়োগ করতে হবে। চারা গজানোর পর গাছ হলুদ হয়ে গেলে দু’সপ্তাহ পর প্রতিবর্গ মিটারে ১৪-২৫ গ্রাম ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগের পর জমি থেকে পানি নিষ্কাশন করা যাবে না। প্রতি হেক্টরেঃ ইউরিয়া ১০০-১২০ কেজি, টিএসপি ৮০-১০০ কেজি ও এমওপি ৩০-৪০ কেজি। রোপা ক্ষেতের জন্যঃ প্রতি হেক্টরেঃ ইউরিয়া ১৬০-১৮০ কেজি, টিএসপি ৮০-১০০ কেজি, এমওপি ৬০-৮০ কেজি, জিপসাম ৬০-৮০ কেজি ও দস্তা ১.০-৪.০ কেজি।

প্রয়োগের নিয়মঃ প্রয়োগের নিয়মঃ রোপার জন্য জমি তৈরীর শেষ চাষের আগে সম্পূর্ণ টিএসপিএবং এমওপি জমিতে সমভাবে ছিটিয়ে চাষের মাধ্যমে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া সারের অর্ধেক পরিমাণ চারা রোপনের ৭-৮ দিন পর, এবং বাকি অর্ধেক ২০-২৫ দিন পর জমির উর্বরতার উপর নির্ভর করে প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার প্রয়োগের ২/১ দিন আগে জমির অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে হবে এবং প্রয়োজন হলে আগাছা দমন করতে হবে। জমির উর্বরতা ও ফসলের অবস্থার উপর নির্ভর করে ইউরিয়া সার প্রয়োগ মাত্রার তারতম্য করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে টিএসপি ও দস্তা সার একই সাথে প্রয়োগ করা যাবে না। তাই এক্ষেত্রে এক চাষ পূর্বে টিএসপি প্রয়োগ করতে হবে এবং শেষ চাষের সময় ইউরিয়া ছাড়া অন্যান্য সার ছিটিয়ে প্রয়োগ করা অবশ্যক।

সেচ ও নিষ্কাশনঃ সেচের খুব একটা প্রয়োজন হয়না তবে প্রয়োজন হলে সেচ দিতে হবে। ধান পাকার ১০-১২ দিন আগে জমির পানি শুকিয়ে ফেলা ভাল।

আগাছা দমন ও মালচিং: চারা রোপনের পর আগাছা দেখা দিলে নিড়ানী বা হাতের সাহায্যে আগাছা পরিষ্কার ও মাটি নরম করতে হবে ।

বালাইব্যবস্থাপনাঃ এ জাতে রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়। তবে প্রয়োজনে বালাইনাশক প্রয়োগ করা উচিত। এ জাতটি মাজরা পোকার প্রতি মধ্যম প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। মাজরা পোকার আক্রমন হলে দানাদার কীটনাশক (মার্শাল ৬ জি/কুরাটার ৫ জি) জমিতে সেপ্র করা যেতে পারে । খোল ঝলসানো বা সিথব্লাইট রোগ দেখা গেলে ফলিকুর (টেবুকোনাজল) বা স্কোর (ডাইফেনোকোনাজল) একর প্রতি ২০০ মিলি হারে ২০০ লিটার পানিতে মিশিয়ে থোর আসার সময় বা তার পরপরই সেপ্র করা যেতে পারে। এছাড়া ব্লাস্ট রোগ দমনের জন্যএকর প্রতি ট্রুপার ১৫০ মিলি হারে ২০০ লিটার পানিতে সেপ্র করা যেতে পারে। পোকামাকড় দমনের জন্য আইপিএম পদ্ধতিই সবচেয়ে ভাল

হেক্টর প্রতি ফলনঃ গড় ফলন ৫.৩ টন/হেক্টর এবং সর্বোচ্চ ফলন ৫.৮ টন/হেক্টর ।

binadhan23


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন

ধান ফসল বিশেষজ্ঞ

(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)

কল করুনঃ ০১৭১৬২৮০৭২১

ই-মেইলঃ sbluna98@yahoo.com.com

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী

ড. শামছুন্নহার বেগম

মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২