বিনা কৃষি প্রযুক্তি

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল আউশ ধানের জাত সম্পর্কে জানতে ট্যাব সিলেক্ট করুন।




বিনা কৃষি প্রযুক্তি

জাতের নামঃ বিনাধান-১৪

জাতের বৈশিষ্টঃ
o বিনাধান-১৪ নাবি রোপনোযোগী ।
o অধিক ফলনশীল ।
o উচ্চ তাপমাত্রা সহিষ্ণু বোরো ধানের জাত।
o জীবনকাল ১২০-১৩০ দিন।

জমি ও মাটিঃ বেলে দো-আঁশ এবং এটেল দো-আঁশ জমি বিনাধান-১৪ চাষের উপযোগী।

জমি তৈরীঃ জাতটির চাষাবাদ পদ্ধতি অন্যান্য উফশী বোরো জাতের মতই।

বপণ ও রোপনের সময়ঃ বোরো মৌসুমে অঞ্চলভেদে জানুয়ারী মাসের ২য় সপ্তাহ হতে শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত বীজতলায় বীজ ফেলতে হবে। রোপনের জন্য স্থানভেদে ফেব্রুয়ারী মাসের ২য় সপ্তাহ হতে মার্চ মাসের ১ম সপ্তাহ পর্যন্ত ২০-২৫ দিন বয়সের চারা রোপন করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়। এ জাতটি জানুায়ারী মাসের মধ্যে রোপন করলে ধান কিছুটা ঝড়ার সম্ভাবনা থাকে বিধায় ফেব্রুয়ারি মাসের ২য় সপ্তাহ থেকে রোপন করলে ধান ঝরে পড়ে না।

বীজ হারঃ প্রতি হেক্টর জমি চাষের জন্য ২৫-৩০ কেজি বা এক একর জমির জন্য ১০-১২ কেজি বীজ প্রয়োজন হয়।

বীজ শোধনঃ প্রতি ১০ কেজি বীজে ২৫ গ্রাম প্রোভ্যাক্স বা ব্যাভিস্টিন ব্যবহার করা যেতে পারে। বীজ শোধনের জন্য মাত্রানুযায়ী ছত্রাকনাশক মিশিয়ে একটি বদ্ধ পাত্রে ৪৮ ঘন্টা রাখা আবশ্যক।

সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
সার প্রয়োগ: প্রতি হেক্টরে: ইউরিয়াঃ ২২০-২৬০ কেজি, টিএসপিঃ ১০০-১২৫ কেজি, এমওপিঃ ১৪০-১৮০ কেজি, জিপসামঃ ৬৫-৮০ ও জিংক সালফেট ৭-৮ কেজি।

প্রয়োগের নিয়মঃ রোপার জন্য জমি তৈরীর শেষ চাষের আগে সম্পূর্ণ টিএসপি , এমওপি, জিপসাম ও জিংক সালফেট জমিতে সমভাবে ছিটিয়ে চাষের মাধ্যমে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া সারের এক-তৃতীয়াংশ পরিমাণ চারা রোপনের ৭-১০ দিন পর, এক-তৃতীয়াংশ ইউরিয়া পরিমাণ চারা রোপনের ১৫-২০ দিন পর এবং বাকি এক-তৃতীয়াংশ ইউরিয়া পরিমাণ চারা রোপনের ২০-২৫ দিন পর জমির উর্বরতার উপর নির্ভর করে প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার প্রয়োগের ২/১ দিন আগে জমির অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে হবে এবং প্রয়োজন হলে আগাছা দমন করতে হবে। জমির উর্বরতা ও ফসলের অবস্থার উপর নির্ভর করে ইউরিয়া সার প্রয়োগ মাত্রার তারতম্য করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে টিএসপি ও জিংক সালফেট সার একই সাথে প্রয়োগ করা যাবে না। তাই এক্ষেত্রে একচাষ পূর্বে টিএসপি প্রয়োগ করতে হবে এবং শেষ চাষের সময় ইউরিয়া ছাড়া অন্যান্য সার ছিটিয়ে প্রয়োগ করা আবশ্যক।

সেচ ও নিষ্কাশনঃ স্বাভাবিক বোরো ধানের তুলনায় এই জাতটি চাষাবাদে সেচ (২-৩ টি সেচ) কম লাগে এবং পানী সাশ্রয়ী। তাছাড়া কুশি ও ফুল আসার সময় সেচ প্রদান করতে হবে। ধান পাকার ১০-১২ দিন আগে জমির পানি শুকিয়ে ফেলা ভাল।

আগাছা দমন ও মালচিং: চারা রোপনের পর আগাছা দেখা দিলে নিড়ানী বা হাতের সাহায্যে আগাছা পরিষ্কার এবং মাটি নরম করে মালচিং করতে হবে ।

বালাইব্যবস্থাপনাঃ ধানের মাজরা ও পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণ দেখা দিলে ক্লোরানট্রানিলিপ্রোল গ্রুপের কোরাজেন বা ভিরতাকো ব্যবহার করা যেতে পারে। কোরাজেন প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৩ মিলি বা ভিরতাকো প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১.৫ গ্রাম ৫ শতক জমির জন্য প্রয়োগ করতে হবে। ধানের খোলপড়া রোগের জন্য হেক্সাকোনাজল বা ডাইফেনোকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক প্রতি একরে ২০০ মিলি মাত্রায় প্রয়োগ করা যেতে পারে। এছাড়াও ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ দেখা দিলে ট্রুপার প্রতি একত্রে ১৬০ গ্রাম মাত্রায় প্রয়োগ করা যেতে পারে।

হেক্টর প্রতি ফলনঃ উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিচর্যায় বিনাধান-১৪ এর ফলন হয় হেক্টর প্রতি গড়ে ৬.৯ টন।

binadhan14


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন

ধান ফসল বিশেষজ্ঞ

(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)

কল করুনঃ +8801710763003

ই-মেইলঃ makazad.pbdbina@yahoo.com

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী

ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ

মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২


বিনা কৃষি প্রযুক্তি

জাতের নামঃ বিনাধান-১৯

জাতের বৈশিষ্টঃ
o খরা সহিষ্ণু নেরিকা-১০ জাত থেকে উদ্ভাবিত।
o প্রচন্ড খরার সময় গাছের বাড়বাড়তি বন্ধ থাকে। আবার যখন অনুকূল পরিবেশ আসে তখন দ্রুত বাড়বাড়তি সম্পন্ন করে স্বাভাবিক ফলন দিতে সক্ষম।
o আউশ ও আমন মৌসুমে চাষ উপযোগী।
o বরেন্দ্র ও পাহাড়ী এলাকাসহ সারাদেশে বৃষ্টি নির্ভর অবস্থায় সরাসরি রোপন (ডিবলিং) উপযোগী।
o সেচের পানি সাশ্রয়ী।
o জীবনকাল ৯৫-১০৫দিন।
o আউশ মৌসুমে গড় ফলন ৩.৮৪ টন/হে. ও সর্বোচ্চ ফলন ৫.০ টন/হে.।
o আমন মৌসুমে গড় ফলন ৫.১৬ টন/হে. ও সর্বোচ্চ ফলন ৫.৫টন/হে.।
o চাল সরু ও লম্বা।

জমি ও মাটিঃ বেলে দো-আঁশ এবং এটেল দো-আঁশ জমি বিনাধান-১৯ চাষের উপযোগী। যে জমিতে পানি জমে থাকে সে সমস্ত জমি জাতটি চাষা বাদের উপযোগি নয়। বিনাধান-১৯ খরা সহিষ্ণু জাত হওয়ায় শুষ্ক মাটি বেশি পছন্দ করে।

জমি তৈরীঃ জাতটির চাষাবাদ পদ্ধতি অন্যান্য উফশী রোপা আউশ জাতের মতই। এছাড়া খরা সহিষ্ণু জাত হওয়ায় বৃষ্টি নির্ভর অবস্থায় সরাসরি সারিতে বপন( ডিবলিং) পদ্ধতিতে চাষ করা যায়।।

বপন ও রোপণের সময়ঃ খরিফ-১ মৌসুমে অঞ্চলভেদে মধ্য মার্চ (১ লা চৈত্র) হতে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ (১৫ ই বৈশাখ) পর্যন্ত বীজতলায় বীজ ফেলে ২০-২৫ দিনের চারা এপ্রিলের ১ম সপ্তাহ (চৈত্রের ৩য় সপ্তাহ) হতে শেষ সপ্তাহ (বৈশাখের ৩য় সপ্তাহ) পর্যন্ত রোপণ করলে ফলন ভালো পাওয়া যায়।

বীজ হারঃ প্রতি হেক্টর জমি চাষের জন্য ২৫-৩০ কেজি বা এক একর জমির জন্য ১০-১২ কেজি বীজ প্রয়োজন হয়।

বীজ শোধনঃ প্রতি ১০ কেজি বীজে ২৫ গ্রাম প্রোভ্যাক্স বা ব্যাভিস্টিন ব্যবহার করা যেতে পারে। বীজ শোধনের জন্য মাত্রানুযায়ী ছত্রাকনাশক মিশিয়ে একটি বদ্ধ পাত্রে ৪৮ ঘন্টা রাখা আবশ্যক।

সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
সার প্রয়োগ: হেক্টর প্রতি ইউরিয়াঃ ১৬৩-১৮৫ কেজি, টিএসপিঃ ৭৫-১০০ কেজি, এমওপিঃ ৬০-৮০ কেজি, জিপসামঃ ৬৬-৮৮ ও জিংক সালফেট ৫.৫-৬ কেজি ।

প্রয়োগের নিয়মঃ রোপার জন্য জমি তৈরীর শেষ চাষের আগে সম্পূর্ণ টিএসপি , এমওপি, জিপসাম ও জিংক সালফেট জমিতে সমভাবে ছিটিয়ে চাষের মাধ্যমে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া সারের এক-তৃতীয়াংশ পরিমাণ চারা রোপনের ৭-১০ দিন পর, এক-তৃতীয়াংশ ইউরিয়া পরিমাণ চারা রোপনের ১৫-২০ দিন পর এবং বাকি এক-তৃতীয়াংশ ইউরিয়া পরিমাণ চারা রোপনের ২০-২৫ দিন পর জমির উর্বরতার উপর নির্ভর করে প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার প্রয়োগের ২/১ দিন আগে জমির অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে হবে এবং প্রয়োজন হলে আগাছা দমন করতে হবে। জমির উর্বরতা ও ফসলের অবস্থার উপর নির্ভর করে ইউরিয়া সার প্রয়োগ মাত্রার তারতম্য করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে টিএসপি ও জিংক সালফেট সার একই সাথে প্রয়োগ করা যাবে না। তাই এক্ষেত্রে একচাষ পূর্বে টিএসপি প্রয়োগ করতে হবে এবং শেষ চাষের সময় ইউরিয়া ছাড়া অন্যান্য সার ছিটিয়ে প্রয়োগ করা আবশ্যক।

সেচ ও নিষ্কাশনঃ স্বাভাবিক ভাবে বৃষ্টি নির্ভর অবস্থায় চাষ করা হয়। তবে অতি অনাবৃষ্টির জন্য কুশি ও থোড় অবস্থায় ১-২ টি সেচ দেয়া যেতে পারে।

আগাছা দমন ও মালচিং: চারা রোপনের পর আগাছা দেখা দিলে নিড়ানী বা হাতের সাহায্যে আগাছা পরিষ্কার এবং মাটি নরম করে মালচিং করতে হবে ।

বালাইব্যবস্থাপনাঃ এ জাতটিতে পাতা পোড়া ও খোল পঁচা ইত্যাদি রোগ সহণশীল। এছাড়াও জাতটির বাদামী গাছ ফড়িং প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যান্য জাতের তুলনায় বেশি। তবে জমিতে মাজরা পোকা ও পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমন দেখা দিলে ক্লোরানট্রানিলিপ্রোল ও থায়মেনথক্সাম গ্রুপের ভিরতাকো ব্যবহার করা যেতে পারে। রোগবালাই যেমন- খোলপচাঁ দেখা দিলে হেক্সাকোনাজল বা ডাইফেনোকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক প্রতি একরে ২০০ মিলি মাত্রায় প্রয়োগ করা যেতে পারে। এছাড়া ব্লাস্ট রোগ দমনের জন্য ট্রুপার/ নাটিভো/ সেলটিমা একরে ১৬০ গ্রাম মাত্রায় প্রয়োগ করা যেতে পারে।

হেক্টর প্রতি ফলনঃ উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিচর্যায় আউশ মৌসুমে গড় ফলন ৩.৮৪ টন/হে. ও সর্বোচ্চ ফলন ৫.০ টন/হে. ও আমন মৌসুমে গড় ফলন ৫.১৬ টন/হে. ও সর্বোচ্চ ফলন ৫.৫টন/হে.।

binadhan19


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন

ধান ফসল বিশেষজ্ঞ

(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)

কল করুনঃ +8801710763003

ই-মেইলঃ makazad.pbdbina@yahoo.com

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী

ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ

মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২


বিনা কৃষি প্রযুক্তি

জাতের নামঃ বিনাধান-২১

জাতের বৈশিষ্টঃ
o বিনাধান-২১ আউশ মৌসুমে চাষ করা যায়।
o পূর্ণ বয়স্ক গাছের উচ্চতা ৯৪-৯৬ সে.মি । গাছ খাটো ও খাড়া বিধায় হেলে পড়ে না।
o জীবনকাল ১০০-১০৫ দিন।
o খরা প্রবন এলাকায় গড় ফলন ৪.৫ টন/হেক্টর ।
o ১০০০ ধানের ওজন ২১.৩ গ্রাম । চাল সাদা রঙের, লম্বা ও চিকন। চালে অ্যামাইলোজের পরিমাণ শতকরা ২৪.৯ ভাগ।
o রান্নার পরে ভাত ঝড়ঝড়া হয় ও খেতে সুস্বাদু।

জমি ও মাটিঃ বেলে দো-আঁশ এবং এটেল দো-আঁশ জমি বিনাধান-২১ চাষের জন্য উপযোগী।

জমি তৈরীঃ খরা সহিষ্ণু এ জাতটির জমি তৈরি পদ্ধতি অন্যান্য আউশ ধানের মতো।

বপণের সময়ঃ আউশ: মধ্য মার্চ (১ চৈত্র) থেকে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ (১৫ বৈশাখ) পর্যন্ত।

বীজ হারঃ প্রতি হেক্টর জমি চাষের জন্য ২৫-৩০ কেজি বা এক একর জমির জন্য ১০-১২ কেজি বীজ প্রয়োজন হয়।

বীজ শোধনঃ বীজ ৫২-৫৫ ডিগ্রী সে. তাপমাত্রার পানিতে ১৫ মিনিট ডুবিয়ে রেখে জীবাণুমুক্ত করা যায়। এছাড়াও ২ গ্রাম ব্যাভিস্টিন/ কেজি বা অন্য কোন উপযোগী বীজ শোধক ছত্রাকনাশক পরিমাণমত প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ১২ ঘন্টা রেখে পরিস্কার পানি দিয়ে ধূয়ে বীজ শোধন করা যায়।

সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
সার প্রয়োগ: হেক্টর প্রতি ১৬০ কেজি ইউরিয়া, ৭৫ কেজি টিএসপি , ৬০ কেজি এমওপি, ৬৫ কেজি জিপসাম ও ৫.৫৬ কেজি জিংক সালফেট।

প্রয়োগের নিয়মঃ জমি তৈরির শেষ চাষের আগে সম্পূর্ণ টিএসপি, এমওপি, জিপসাম ও দস্তা সার সমভাবে ছিটিয়ে চাষের মাধ্যমে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া সারের অর্ধেক পরিমাণ চারা রোপণের ৭-১০ দিন পর এবং বাকি অর্ধেক ৩০-৩৫ দিন পর প্রয়োগ করতে হবে অথবা এক তৃতীয়াংশ চারা রোপণের ৭-৮ দিন পর, এক তৃতীয়াংশ চারা রোপণের ১৮-২০ দিন পর ও শেষ তৃতীয়াংশ চারা রোপণের ৩০-৩৫ দিন পর জমির উর্বরতার উপর নির্ভর করে প্রয়োগ করতে হবে। উল্লেখ্য যে, জমির উর্বরতা অনুযায়ী নাইট্রোজেন সারের মাত্রা কম-বেশী হতে পারে। রোপা পদ্ধতিতে চাষের ক্ষেত্রে ইউরিয়া সার প্রয়োগের ২/১ দিন আগে জমির অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে হবে এবং প্রয়োজন হলে আগাছা দমন করতে হবে। জমির উর্বরতা ও ফসলের অবস্থার উপর নির্ভর করে ইউরিয়া সার প্রয়োগ মাত্রার তারতম্য করা যেতে পারে।

আগাছা দমনঃ আগাছা দেখা দিলে নিড়ানী বা হাত দ্বারা পরিস্কার করে সহজেই আগাছা দমন করা যায়।

বালাইব্যবস্থাপনাঃ এ জাতে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমন প্রচলিত জাতের চেয়ে কম হয়। তবে প্রয়োজনে বালাইনাশক প্রয়োগ করা উচিৎ। ধানের মাজরা ও পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণ দেখা দিলে ক্লোরানট্রানিলিপ্রোল গ্রুপের কোরাজেন বা ভিরতাকো ব্যবহার করা যেতে পারে। কোরাজেন প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৩ মিলি বা ভিরতাকো প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১.৫ গ্রাম ৫ শতাংশ জমির জন্য প্রয়োগ করতে হবে। ধানের খোলপড়া রোগের জন্য হেক্সাকোনাজল বা ডাইফেনোকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক প্রতি একরে ২০০ মিলি মাত্রায় প্রয়োগ করা যেতে পারে। এছাড়াও ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ দেখা দিলে ট্রুপার প্রতি একরে ১৬০ গ্রাম মাত্রায় প্রয়োগ করা যেতে পারে।

হেক্টর প্রতি ফলনঃ উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে প্রতি হেক্টরে ৪.৫-৫.০ টন ফলন পাওয়া যায়।

binadhan21


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন

ধান ফসল বিশেষজ্ঞ

(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)

কল করুনঃ ০১৭১৬২৮০৭২১

ই-মেইলঃ sbluna98@yahoo.com.com

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী

ড. শামছুন্নহার বেগম

মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২