বিনা কৃষি প্রযুক্তি

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের জাত সম্পর্কে জানতে ট্যাব সিলেক্ট করুন।










বিনা কৃষি প্রযুক্তি

জাতের নামঃ ইরাটম-২৪

জাতের বৈশিষ্টঃ
o এটি একটি মধ্যম স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন জাত।
o জীবনকাল বোরো মৌসুমে ১৪০-১৫০ দিন ও আউশ মৌসুমে ১২৫-১৩০ দিন।
o গাছ মাঝারী আকারের লম্বা (৮০-৮৫ সেমি)।
o জাতটি পাতা পোড়া রোগ প্রতিরোধী।
o প্রতি গুছিতে কুশির সংখ্যা ১৭-২০ টি, ছড়া ২১ সে.মি. লম্বা ও ১৪০-১৫০ টি ধান ধরে ।
o চাল মাঝারী সরু ও লম্বা।
o চালে এ্যামাইলোজের পরিমাণ ২৬-২৮% ও আমিষের পরিমাণ ৮.২১-৮.৩৮%।
o ভাত সহজে নষ্ট হয় না।

জমি ও মাটিঃ বেলে দো-আঁশ এবং এটেল দো-আঁশ জমি ইরাটম-২৪ চাষের উপযোগী ।

জমি তৈরীঃ জাতটির চাষাবাদ পদ্ধতি অন্যান্য উফশী রোপা আমন জাতের মতই।

বপণের সময়ঃ বোরোঃ নভেম্বর মাসের ৩য় সপ্তাহ হতে ডিসেম্বরে ৩য় সপ্তাহ (অগ্রহায়ণের ১ম সপ্তাহ থেকে পৌষের ১ম সপ্তাহ) ।
আউশঃ ১ থেকে ২১ এপ্রিল (চৈত্রের ৩য় সপ্তাহ হতে বৈশাখের ১ম সপ্তাহ) ।

বীজ হারঃ ভারী দেখে বীজ বাছাই করে ৫ শতাংশ বীজ তলায় ১০ কেজি বীজ বপন করলে এ চারা দিয়ে প্রায় ১ একর জমি রোপন করা যায়।

বীজ শোধনঃ উপযুক্ত ফলন নিশ্চিত করতে হলে পুষ্ট ও রোগবালাই মুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে। প্রতি ১০ কেজি বীজ শোধনের জন্য ২৫ গ্রাম প্রোভ্যাক্স ব্যবহার করলে ভাল হয়।

সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
প্রতি হেক্টরেঃ
বীজ তলার জন্য:
উর্বর ও স্বল্প উর্বর জমিতে বীজতলা তৈরী করলে কোনরূপ সার প্রয়োজন হয়না। অনুর্বর ও স্বল্প উর্বর জমিতে কেবল দুই কেজি পঁচা গোবর বা আবর্জনা সার প্রয়োগ করলেই চলে। চারা গজানোর পর গাছ হলুদ হয়ে গেলে দু’সপ্তাহ পর প্রতি বর্গ মিটারে ৭ গ্রাম ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগের পর জমি থেকে পানি নিষ্কাশণ করা যাবেনা। শীতের কারনে চারা লালচে বা হলুদ হয়ে যায়, যাকে টুংরো রোগ বলে অনেকেই ভুল করেন। রোপা ক্ষেতের জন্য:
ইউরিয়াঃ ১০০-১২০ কেজি, টিএসপিঃ ৫০-৬০ কেজি, এমওপিঃ ৫০-৭০ কেজি, জিপসামঃ ৩০-৪৫ ও দস্তাঃ ২.০-৩.০ কেজি।

প্রয়োগের নিয়মঃ রোপার জন্য জমি তৈরীর শেষ চাষের আগে সম্পূর্ণ টিএসপি এবং এমওপি জমিতে সমভাবে ছিটিয়ে চাষের মাধ্যমে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া সারের অর্ধেক পরিমাণ চারা রোপনের ৭-৮ দিন পর, এবং বাকি অর্ধেক ৩০-৩৫ দিন পর জমির উর্বরতার উপর নির্ভর করে প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার প্রয়োগের ২/১ দিন আগে জমির অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে হবে এবং প্রয়োজন হলে আগাছা দমন করতে হবে। জমির উর্বরতা ও ফসলের অবস্থার উপর নির্ভর করে ইউরিয়া সার প্রয়োগ মাত্রার তারতম্য করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে টিএসপি ও দস্তা সার একই সাথে প্রয়োগ করা যাবেনা। তাই এক্ষেত্রে একচাষ পূর্বে টিএসপি প্রয়োগ করতে হবে এবং শেষ চাষের সময় ইউরিয়া ছাড়া অন্যান্য সার ছিটিয়ে প্রয়োগ করা অবশ্যক।

সেচ ও নিষ্কাশনঃ জমি তৈরীর সময় ২/৩ বার স্বাদু পানি দিয়ে লবণাক্ত পানি বের করে দিলে জমির লবণাক্ততা অনেকটা কমে যায়। তাছাড়া কুশি, ফুল আসা ও পরিপক্কতার সময় লবণের মাত্রা ১০ ডিএস/মিটারের বেশী হলে স্বাদু পানি দিয়ে লবণাক্ততা কমিয়ে আনতে হবে। ধান পাকার ১০-১২ দিন আগে জমির পানি শুকিয়ে ফেলা ভাল।

আগাছা দমন ও মালচিংঃ চারা রোপনের পর আগাছা দেখা দিলে নিড়ানী বা হাতের সাহায্যে আগাছা পরিষ্কার এবং মাটি নরম করে মালচিং করতে হবে ।

বালাইব্যবস্থাপনাঃ এ জাতটি পাতা পোড়া রোগ মধ্যম প্রতিরোধী। রোগবালাই ও কীট পতঙ্গের আক্রমণ দেখা দিলে নিকটস্থ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার উপদেশ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। পেকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দিলে প্রচলিত তরল বা দানাদার কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে রোগবালাই যেমন- খোলা ঝলসানো দেখা দিলে -হোমাই ৮০ ডব্লিইপি বা টিলট একর প্রতি ১ -১.২ কেজি হারে ১০০ লিটার পানিতে মিশিয়ে থোড় আসার সময় বা তার পর পরই স্প্রে করা যেতে পারে। এছাড়া ব্লাষ্ট রোগ দমনের জন্য হিনোসান ৫০ ইসি বা টপসিন মিথাইল ৮০ মিলি ৬০-১০০ লিটার পানিতে ২৫ শতাংশ জমিমে স্প্রে করা যেতে পারে। পোকামাকড় দমনের জন্য আই পি এম পদ্ধতি ভাল। জমিতে মাজরা পোকা, পাতা পোষক পোকা, ফড়িং বা অন্যান্য কীট পতঙ্গের আক্রমণ হলে ডায়াজিনন-১০ (দানাদার) একর প্রতি ৬.৮ কেজি হারে ছিটিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে বা সবিক্রন-৪২৫ ইসি ২০ মি.লি. ১০ লিটার পানিতে মিশ্রিত করে ২০০ বর্গ মি. (৫ শতাংশ) জমিতে স্প্রে করা যেতে পারে।

হেক্টর প্রতি ফলনঃ গড় ফলন বোরো মৌসুমে ৬.৫ টন/হেক্টর এবং আউশ মৌসুমে ৩.৫ টন/হেক্টর ।

iratom-24


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন

ধান ফসল বিশেষজ্ঞ

(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)

কল করুনঃ ০১৭১৬২৮০৭২১

ই-মেইলঃ sbluna98@yahoo.com.com

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী

ড. শামছুন্নহার বেগম

মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২


বিনা কৃষি প্রযুক্তি

জাতের নামঃ বিনাধান-৫

জাতের বৈশিষ্টঃ
o এটি একটি উচ্চ ফলনশীল ও ভাল গুণাগুণ সম্পন্ন বোরো জাত।
o চারার উচ্চতা অন্যান্য উফশী বোরো জাতের চারা অপেক্ষা বেশী বলে শীতকালে রোপা লাগানোর সুবিধা হয়।পূর্ণ বয়স্ক গাছের উচ্চতা ১১০-১১৫ সেমি। বোরোর অন্যান্য জাত অপেক্ষা গাছ তুলনামূলকভাবে লম্বা হলেও হেলে পড়েনা। বেশি পরিমাণ খড় পাওয়া যায়।
o পাতা গাঢ় সবুজ, লম্বা ও চওড়া।
o ব্রিধান-২৯ অপেক্ষা ৫-৭ দিন আগে পাকে। বীজ বপন হতে কাটা পর্যন্ত এর জীবনকাল ১৫০-১৫৫ দিন।
o ব্রিধান-২৮ অপেক্ষা বেশী এবং ব্রিধান-২৯ এর সমান ফলন দেয়। গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৫-৬ টন (একর প্রতি ৫০-৬০ মণ) । যথোপযুক্ত পরিচর্যা পেলে হেক্টর প্রতি ৭ টনের (একর প্রতি ৭০ মণ) অধিক ফলন দেয়।
o এই জাতের ধান ও চাউল মাঝারী লম্বা ও সরূ।

জমি ও মাটিঃ বেলে দো-আঁশ এবং এটেল দো-আঁশ জমি এই জাতের চাষের উপযোগী।

জমি তৈরীঃ জাতটির চাষাবাদ পদ্ধতি অন্যান্য উফশী রোপা বোরো জাতের মতই।

বপণের সময়ঃ নভেম্বর মাসের ৩য় সপ্তাহ হতে ডিসেম্বরে ৩য় সপ্তাহ (অগ্রহায়ণের ১ম সপ্তাহ থেকে পৌষের ১ম সপ্তাহ) ।

বীজ হারঃ প্রতি হেক্টর জমি চাষের জন্য ২৫-৩০ কেজি বা এক একর জমির জন্য ১০-১২ কেজি বীজ প্রয়োজন হয় ।

বীজ শোধনঃ প্রতি ১০ কেজি বীজে ২৫ গ্রাম প্রোভ্যাক্স বা ব্যাভিস্টিন ব্যবহার করা যেতে পারে। বীজ শোধনের জন্য মাত্রানুযায়ী ছত্রাকনাশক মিশিয়ে একটি বদ্ধ পাত্রে ৪৮ ঘন্টা রাখা আবশ্যক।

সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
প্রতি হেক্টরেঃ

বীজতলার জন্যঃ
উর্বর ও স্বল্প উর্বর জমিতে বীজতলা তৈরী করলে কোন রূপ সার প্রয়োজন হয়না। অনুর্বর ও স্বল্প উর্বর জমিতে কেবল দুই কেজি পঁচা গোবর বা আবর্জনা সার প্রয়োগ করলেই চলে। চারা গজানোর পর গাছ হলুদ হয়ে গেলে দু’সপ্তাহ পর প্রতি বর্গ মিটারে ৭ গ্রাম ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগের পর জমি থেকে পানি নিষ্কাষণ করা যাবেনা।

রোপা ক্ষেতের জন্যঃ
ইউরিয়াঃ ২০০-২৪০ কেজি, টিএসপিঃ ৮০-১০০ কেজি, এমওপিঃ ১২০-১৫০ কেজি, জিপসামঃ ৬০-৮০ কেজি ও দস্তাঃ ৩.০-৬.০ কেজি।
প্রয়োগের নিয়মঃ
রোপার জন্য জমি তৈরীর শেষ চাষের আগে সম্পূর্ণ টিএসপি এবং এমওপি জমিতে সমভাবে ছিটিয়ে চাষের মাধ্যমে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া সারের অর্ধেক পরিমাণ চারা রোপনের ৭-৮ দিন পর এবং বাকি অর্ধেক ২০-২৫ দিন পর জমির উর্বরতার উপর নির্ভর করে প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার প্রয়োগের ২/১ দিন আগে জমির অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে হবে এবং প্রয়োজন হলে আগাছা দমন করতে হবে। জমির উর্বরতা ও ফসলের অবস্থার উপর নির্ভর করে ইউরিয়া সার প্রয়োগমাত্রার তারতম্য করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে টিএসপি ও দস্তা সার একই সাথে প্রয়োগ করা যাবেনা। তাই এক্ষেত্রে এক চাষ পূর্বে টিএসপি প্রয়োগ করতে হবে এবং শেষ চাষের সময় ইউরিয়া ছাড়া অন্যান্য সার ছিটিয়ে প্রয়োগ করা অবশ্যক।

সেচ ও নিষ্কাশনঃ জমি তৈরীর সময় ২/৩ বার স্বাদু পানি দিয়ে লবণাক্ত পানি বের করে দিলে জমির লবণাক্ততা অনেকটা কমে যায়। তাছাড়া কুশি, ফুল আসা ও পরিপক্কতার সময় লবণের মাত্রা ১০ ডিএস/মিটারের বেশী হলে স্বাদু পানি দিয়ে লবণাক্ততা কমিয়ে আনতে হবে। ধান পাকার ১০-১২ দিন আগে জমির পানি শুকিয়ে ফেলা ভাল।

আগাছা দমন ও মালচিং: চারা রোপনের পর আগাছা দেখা দিলে নিড়ানী বা হাতের সাহায্যে আগাছা পরিষ্কার এবং মাটি নরম করে মালচিং করতে হবে ।

বালাইব্যবস্থাপনাঃ জাতটি বিভিন্ন রোগ যথা-পাতা পোড়া, খোল পোড়া, খোল পঁচা, ইত্যাদি রোগ তুলনামূলকভাবে প্রতিরোধ করতে পারে। মাজরা পোকা, সবুজ পাতা ফড়িং বাদামী গাছ ফড়িং ইত্যাদি পোকার আক্রমণ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা ও তুলনামূলকভাবে বেশী। রোগবালাই ও কীট পতঙ্গের আক্রমণ দেখা দিলে নিকটস্থ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার উপদেশ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। পেকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দিলে প্রচলিত তরল বা দানাদার কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া এই জাতের রোগবালাই ও কীট পতঙ্গের আক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে বেশি। তবে রোগবালাই যেমন- খোলা ঝলসানো দেখা দিলে -হোমাই ৮০ ডব্লিইপি বা টিলট একর প্রতি ১ -১.২ কেজি হারে ১০০ লিটার পানিতে মিশিয়ে থোড় আসার সময় বা তার পর পরই স্প্রে করা যেতে পারে। এছাড়া ব্লাষ্ট রোগ দমনের জন্য হিনোসান ৫০ ইসি বা টপসিন মিথাইল ৮০ মিলি ৬০-১০০ লিটার পানিতে ২৫ শতাংশ জমিমে স্প্রে করা যেতে পারে। পোকামাকড় দমনের জন্য আই পি এম পদ্ধতি ভাল। জমিতে মাজরা পোকা, পাতা পোষক পোকা, ফড়িং বা অন্যান্য কীট পতঙ্গের আক্রমণ হলে ডায়াজিনন-১০ (দানাদার) একর প্রতি ৬.৮ কেজি হারে ছিটিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে বা সবিক্রন-৪২৫ ইসি ২০ মি.লি. ১০ লিটার পানিতে মিশ্রিত করে ২০০ বর্গ মি. (৫ শতাংশ) জমিতে স্প্রে করা যেতে পারে। পোকামাকড় ও রোগবালাই আক্রমণ দেখা দিলে প্রয়োজনবোধে নিকটস্থ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা/কর্মীর উপদেশ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যেগে পারে।

হেক্টর প্রতি ফলনঃ ৫-৬ টন।

binadhan5


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন

ধান ফসল বিশেষজ্ঞ

(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)

কল করুনঃ ০১৭১৬২৮০৭২১

ই-মেইলঃ sbluna98@yahoo.com.com

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী

ড. শামছুন্নহার বেগম

মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২


বিনা কৃষি প্রযুক্তি

জাতের নামঃ বিনাধান-৮

জাতের বৈশিষ্টঃ
o একটি লবন সহিষ্ণু, উচ্চ ফলনশীল, আলোক অসংবেদনশীল ও উন্নত গুনাগুন সম্পন্ন বোরো ধানের জাত।
o জীবনকাল ১৩০-১৩৫ দিন।
o কুশি অবস্থা থেকে পরিপক্কতা পর্যন্ত ৮-১০ ডিএস/মিটার এবং চারা অবস্থায় ১২-১৪ ডিএস/মিটার মাত্রার লবণাক্ততা সহনশীল।

জমি ও মাটিঃ দেশের লবণাক্ত ও অলবণাক্ত উভয় এলাকায় এ জাতটি চাষের উপযোগী। তবে অলবণাক্ত এলাকায় ফলন কিছুটা বেশি পাওয়া যায়। বেলে দো-আঁশ এবং এটেল দো-আঁশ জমি এ জাতটি চাষের উপযোগী।

জমি তৈরীঃ জাতটির চাষাবাদ পদ্ধতি অন্যান্য উফশী রোপা বোরো জাতের মতই।

বপণের সময়ঃ এ জাতের বীজ নভেম্বর মাসের ১ম সপ্তাহ হতে শুরু করে ২য় সপ্তাহ পর্যন্ত বীজতলায় ফেলার উপযুক্ত সময়। পাঁচ শতাংশ (২০০ বর্গ মিটার) পরিমাণ বীজতলায় ১০ কেজি বীজ ফেলা যায়।

বীজ হারঃ প্রতি হেক্টর জমি চাষের জন্য ২৫-৩০ কেজি বা এক একর জমির জন্য ১০-১২ কেজি বীজ প্রয়োজন হয়।

বীজ শোধনঃ উপযুক্ত ফলন নিশ্চিত করতে হলে পুষ্ট ও রোগবালাই মুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে। প্রতি ১০ কেজি বীজ শোধনের জন্য ২৫ গ্রাম প্রোভ্যাক্স ব্যবহার করলে ভাল হয়।

সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
প্রতি হেক্টরেঃ

বীজতলার জন্যঃ
উর্বর ও স্বল্প উর্বর জমিতে বীজতলা তৈরী করলে কোন রূপ সার প্রয়োজন হয়না। অনুর্বর ও স্বল্প উর্বর জমিতে কেবল দুই কেজি পঁচা গোবর বা আবর্জনা সার প্রয়োগ করলেই চলে। চারা গজানোর পর গাছ হলুদ হয়ে গেলে দু’সপ্তাহ পর প্রতি বর্গ মিটারে ৭ গ্রাম ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগের পর জমি থেকে পানি নিষ্কাশণ করা যাবে না।

রোপা ক্ষেতের জন্যঃ
ইউরিয়াঃ ২১০-২৩০ কেজি, টিএসপিঃ ১১০-১২০ কেজি, এমওপিঃ ৬০-৮০ কেজি, জিপসামঃ ৪৫-৫০ কেজি ও দস্তাঃ ৪.০-৪.৫ কেজি।
প্রয়োগের নিয়মঃ
রোপার জন্য জমি তৈরীর শেষ চাষের আগে সম্পূর্ণ টিএসপি এবং এমওপি জমিতে সমভাবে ছিটিয়ে চাষের মাধ্যমে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া সারের অর্ধেক পরিমাণ চারা রোপনের ৭-৮ দিন পর এবং বাকি অর্ধেক ২০-২৫ দিন পর জমির উর্বরতার উপর নির্ভর করে প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার প্রয়োগের ২/১ দিন আগে জমির অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে হবে এবং প্রয়োজন হলে আগাছা দমন করতে হবে। জমির উর্বরতা ও ফসলের অবস্থার উপর নির্ভর করে ইউরিয়া সার প্রয়োগমাত্রার তারতম্য করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে টিএসপি ও দস্তা সার একই সাথে প্রয়োগ করা যাবেনা। তাই এক্ষেত্রে এক চাষ পূর্বে টিএসপি প্রয়োগ করতে হবে এবং শেষ চাষের সময় ইউরিয়া ছাড়া অন্যান্য সার ছিটিয়ে প্রয়োগ করা অবশ্যক।

সেচ ও নিষ্কাশনঃ জমি তৈরীর সময় ২/৩ বার স্বাদু পানি দিয়ে লবণাক্ত পানি বের করে দিলে জমির লবণাক্ততা অনেকটা কমে যায়। তাছাড়া কুশি, ফুল আসা ও পরিপক্কতার সময় লবণের মাত্রা ১০ ডিএস/মিটারের বেশী হলে স্বাদু পানি দিয়ে লবণাক্ততা কমিয়ে আনতে হবে। ধান পাকার ১০-১২ দিন আগে জমির পানি শুকিয়ে ফেলা ভাল।

আগাছা দমন ও মালচিং : চারা রোপনের পর আগাছা দেখা দিলে নিড়ানী বা হাতের সাহায্যে আগাছা পরিষ্কার এবং মাটি নরম করে মালচিং করতে হবে ।

বালাইব্যবস্থাপনাঃ এ জাতগুলোর রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়। তবে প্রয়োজনে বালাইনাশক প্রয়োগ করা উচিত। খোল ঝলসানো বা সিথ্বব্লাইট রোগ দেখা গেলে ফলিকুর বা প্রোপিকানাজল (টিল্ট ২৫০ ইসি) ১ মি. লি. বা ব্যাভিস্টিন ১ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। এছাড়া ব্লাষ্ট রোগ দমনের জন্য ট্রুপার একর প্রতি ১৫০ মিলি হারে ২০০ লিটার পানিতে স্প্রে করা যেতে পারে। পোকামাকড় দমনের জন্য আইপিএম পদ্ধতিই সবচেয়ে ভাল। এ জাতটি মাজরা পোকার প্রতি মধ্যম প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। জমিতে মাজরা পোকা, পাতা শোষক পোকা, ফড়িং বা অন্যান্য পোকার আক্রমণ হলে ডায়াজিনন-১০ (দানাদার) একর প্রতি ৬.৮ কেজি হারে ছিটিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে বা সবিক্রন ৪২৫ ইসি ২০ মি.লি. ১০লিটার পানিতে মিশিয়ে ২০০ বর্গ মিটার (৫ শতাংশ) জমিতে স্প্রে করা যেতে পারে। রোগবালাই ও কীট পতঙ্গের আক্রমণ দেখা দিলে নিকটস্থ কৃষিসম্প্রসারণ কর্মকর্তার উপদেশ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

হেক্টর প্রতি ফলনঃ লবণাক্ত জমিতে গড় ফলন ৫.০-৫.৫ টন/হেঃ (বোরো মৌসুম) এবং অলবণাক্ত স্বাভাবিক জমিতে গড় ফলন ৭.৫-৮.৫ টন/হেঃ (বোরো মৌসুম)।

binadhan8


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন

ধান ফসল বিশেষজ্ঞ

(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)

কল করুনঃ ০১৭১৬২৮০৭২১

ই-মেইলঃ sbluna98@yahoo.com.com

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী

ড. শামছুন্নহার বেগম

মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২


বিনা কৃষি প্রযুক্তি

জাতের নামঃ বিনাধান-১০

জাতের বৈশিষ্টঃ
o একটি লবন সহিষ্ণু, উচ্চ ফলনশীল, আলোক অসংবেদনশীল ও উন্নত গুনাগুন সম্পন্ন বোরো ধানের জাত।
o জীবনকাল ১২৫-১৩০ দিন।
o কুশি অবস্থা থেকে পরিপক্কতা পর্যন্ত ১০-১২ ডিএস/মিটার এবং চারা অবস্থায় ১২-১৪ ডিএস/মিটার মাত্রার লবণাক্ততা সহনশীল।

জমি ও মাটিঃ দেশের লবণাক্ত ও অলবণাক্ত উভয় এলাকায় এ জাতটি চাষের উপযোগী। তবে অলবণাক্ত এলাকায় ফলন কিছুটা বেশি পাওয়া যায়। বেলে দো-আঁশ এবং এটেল দো-আঁশ জমি এ জাতটি চাষের উপযোগী।

জমি তৈরীঃ জাতটির চাষাবাদ পদ্ধতি অন্যান্য উফশী রোপা বোরো জাতের মতই।

বপণের সময়ঃএ জাতের বীজ নভেম্বর মাসের ১ম সপ্তাহ হতে শুরু করে ২য় সপ্তাহ পর্যন্ত বীজতলায় ফেলার উপযুক্ত সময়। পাঁচ শতাংশ (২০০ বর্গ মিটার) পরিমাণ বীজতলায় ১০ কেজি বীজ ফেলা যায়।

বীজ হারঃ প্রতি হেক্টর জমি চাষের জন্য ২৫-৩০ কেজি বা এক একর জমির জন্য ১০-১২ কেজি বীজ প্রয়োজন হয়।

বীজ শোধনঃ উপযুক্ত ফলন নিশ্চিত করতে হলে পুষ্ট ও রোগবালাই মুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে। প্রতি ১০ কেজি বীজ শোধনের জন্য ২৫ গ্রাম প্রোভ্যাক্স ব্যবহার করলে ভাল হয়।

সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ প্রতি হেক্টরেঃ
বীজতলার জন্যঃ উর্বর ও স্বল্প উর্বর জমিতে বীজতলা তৈরী করলে কোন রূপ সার প্রয়োজন হয়না। অনুর্বর ও স্বল্প উর্বর জমিতে কেবল দুই কেজি পঁচা গোবর বা আবর্জনা সার প্রয়োগ করলেই চলে। চারা গজানোর পর গাছ হলুদ হয়ে গেলে দু’সপ্তাহ পর প্রতি বর্গ মিটারে ৭ গ্রাম ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগের পর জমি থেকে পানি নিষ্কাশণ করা যাবে না।

রোপা ক্ষেতের জন্যঃ ইউরিয়াঃ ২১০-২৩০ কেজি, টিএসপিঃ ১১০-১২০ কেজি, এমওপিঃ ৬০-৮০ কেজি, জিপসামঃ ৪৫-৫০ কেজি ও দস্তাঃ ৪.০-৪.৫ কেজি।

প্রয়োগের নিয়মঃ প্রয়োগের নিয়মঃ রোপার জন্য জমি তৈরীর শেষ চাষের আগে সম্পূর্ণ টিএসপি এবং এমওপি জমিতে সমভাবে ছিটিয়ে চাষের মাধ্যমে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া সারের অর্ধেক পরিমাণ চারা রোপনের ৭-৮ দিন পর এবং বাকি অর্ধেক ২০-২৫ দিন পর জমির উর্বরতার উপর নির্ভর করে প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার প্রয়োগের ২/১ দিন আগে জমির অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে হবে এবং প্রয়োজন হলে আগাছা দমনকরতে হবে। জমির উর্বরতা ও ফসলের অবস্থার উপর নির্ভর করে ইউরিয়া সার প্রয়োগ মাত্রার তারতম্য করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে টিএসপি ও দস্তা সার একই সাথে প্রয়োগ করা যাবেনা। তাই এক্ষেত্রে এক চাষ পূর্বে টিএসপি প্রয়োগ করতে হবে এবং শেষ চাষের সময় ইউরিয়া ছাড়া অন্যান্য সার ছিটিয়ে প্রয়োগ করা অবশ্যক।

সেচ ও নিষ্কাশনঃ জমি তৈরীর সময় ২/৩ বার স্বাদু পানি দিয়ে লবণাক্ত পানি বের করে দিলে জমির লবণাক্ততা অনেকটা কমে যায়। তাছাড়া কুশি, ফুল আসা ও পরিপক্কতার সময় লবণের মাত্রা ১০ ডিএস/মিটারের বেশী হলে স্বাদু পানি দিয়ে লবণাক্ততা কমিয়ে আনতে হবে। ধান পাকার ১০-১২ দিন আগে জমির পানি শুকিয়ে ফেলা ভাল।

আগাছা দমন ও মালচিংঃ চারা রোপনের পর আগাছা দেখা দিলে নিড়ানী বা হাতের সাহায্যে আগাছা পরিষ্কার এবং মাটি নরম করতে হবে । ।

বালাইব্যবস্থাপনাঃ রোগ বালাই ও কীট পতঙ্গের আক্রমণ দেখা দিলে নিকটস্থ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার উপদেশ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দিলে প্রচলিত তরল বা দানাদার কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া খোলা ঝলসানো, ব্যাক্টেরিয়াল লিফ ব্লাইট বা পাতা ঝলসানো ও অন্যান্য রোগ দেখা দিলে উপযুক্ত ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করতে হবে। খোল ঝলসানো, কান্ড পচাঁ রোগ দেখা দিলে বেনলেট, হোমাই, বেভিস্টিন বা টপসিন মিথাইল মাত্রা অনুযায়ী প্রয়োগ করা যেতে পারে।

হেক্টর প্রতি ফলনঃ লবণাক্ত জমিতে গড় ফলন ৫.৫-৬.০ টন/হেঃ (বোরো মৌসুম) এবং অলবণাক্ত স্বাভাবিক জমিতে গড় ফলন ৭.৫-৮.৫ টন/হেঃ (বোরো মৌসুম) ।

binadhan10


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন

ধান ফসল বিশেষজ্ঞ

(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)

কল করুনঃ ০১৭১৬২৮০৭২১

ই-মেইলঃ sbluna98@yahoo.com.com

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী

ড. শামছুন্নহার বেগম

প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

মূখ্য প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২


বিনা কৃষি প্রযুক্তি

জাতের নামঃ বিনাধান-১৮

জাতের বৈশিষ্টঃ
o বিনাধান-১৮ ব্রিধান-২৯ অপেক্ষা ১৩-১৫ দিন আগে পরিপক্ক হয় ।
o গড় ফলন ৭.২৫ টন/হে.।
o চালে হাল্কা সুগন্ধি বিদ্যমান।
o চাল লম্বা ও মাঝারী মোটা।
o জীবনকাল-১৪৮-১৫৩ দিন।

জমি ও মাটিঃ বেলে দো-আঁশ এবং এটেল দো-আঁশ জমি বিনাধান-১৮ চাষের উপযোগী।

জমি তৈরীঃ জাতটির জাতটির চাষাবাদ পদ্ধতি অন্যান্য উচ্চ ফলনশীল বোরো জাতের মতই।

বপন ও রোপণের সময়ঃ বোরো মৌসুমে অঞ্চলভেদে ডিসেম্বর মাসের ১ম সপ্তাহ হতে শেষ সপ্তাহ (অগ্রহায়ণের ২য় সপ্তাহ হতে পৌষের দ্বিতীয় সপ্তাহ) পর্যন্ত বীজতলায় বীজ ফেলে ৩৫-৪৫ দিনের চারা জানুয়ারী মাসের ২য় সপ্তাহ হতে শেষ সপ্তাহ (পৌষের শেষ সপ্তাহ হতে মাঘের তৃতীয় সপ্তাহ) পর্যন্ত রোপণ করলে ফলন ভালো পাওয়া যায়।

বীজ হারঃ প্রতি হেক্টর জমি চাষের জন্য ২৫-৩০ কেজি বা এক একর জমির জন্য ১০-১২ কেজি বীজ প্রয়োজন হয়।

বীজ শোধনঃ প্রতি ১০ কেজি বীজে ২৫ গ্রাম প্রোভ্যাক্স বা ব্যাভিস্টিন ব্যবহার করা যেতে পারে। বীজ শোধনের জন্য মাত্রানুযায়ী ছত্রাকনাশক মিশিয়ে একটি বদ্ধ পাত্রে ৪৮ ঘন্টা রাখা আবশ্যক।

সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ সার প্রয়োগ প্রতি হেক্টরেঃ ইউরিয়াঃ ২৬০-৩২৫ কেজি, টিএসপিঃ ১০০-১৪০ কেজি, এমওপিঃ ১৪০-১৮০ কেজি, জিপসামঃ ৬৬-১১০, জিংক সালফেট ৫.৫-৬ কেজি ও বোরোন এলাকা ভেদে ৫.৯ কেজি। প্রয়োগের নিয়মঃ রোপার জন্য জমি তৈরীর শেষ চাষের আগে সম্পূর্ণ টিএসপি , এমওপি, জিপসাম ও জিংক সালফেট জমিতে সমভাবে ছিটিয়ে চাষের মাধ্যমে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া সারের এক-তৃতীয়াংশ পরিমাণ চারা রোপনের ৭-১০ দিন পর, এক-তৃতীয়াংশ ইউরিয়া পরিমাণ চারা রোপনের ১৫-২০ দিন পর এবং বাকি এক-তৃতীয়াংশ ইউরিয়া পরিমাণ চারা রোপনের ২০-২৫ দিন পর জমির উর্বরতার উপর নির্ভর করে প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার প্রয়োগের ২/১ দিন আগে জমির অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে হবে এবং প্রয়োজন হলে আগাছা দমন করতে হবে। জমির উর্বরতা ও ফসলের অবস্থার উপর নির্ভর করে ইউরিয়া সার প্রয়োগ মাত্রার তারতম্য করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে টিএসপি ও জিংক সালফেট সার একই সাথে প্রয়োগ করা যাবেনা। তাই এক্ষেত্রে একচাষ পূর্বে টিএসপি প্রয়োগ করতে হবে এবং শেষ চাষের সময় ইউরিয়া ছাড়া অন্যান্য সার ছিটিয়ে প্রয়োগ করা আবশ্যক।

সেচ ও নিষ্কাশনঃ স্বাভাবিক বোরো ধানের মত সেচ নির্ভর দো-আঁশ মাটির জন্য ৮-১০ টি সেচের দরকার হয় এবং বেলে মাটির জন্য এর বেশি এবং এঁটেল মাটির জন্য কম সেচ প্রয়োজন । তাছাড়া কুশি ও ফুল আসার সময় সেচ প্রদান করা ভাল। ধান পাকার ১০-১২ দিন আগে জমির পানি শুকিয়ে ফেলা ভাল।

আগাছা দমন ও মালচিং: চারা রোপনের পর আগাছা দেখা দিলে নিড়ানী বা হাতের সাহায্যে আগাছা পরিষ্কার এবং মাটি নরম করে মালচিং করতে হবে ।

বালাইব্যবস্থাপনাঃ জমিতে মাজরা পোকা ও পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমন দেখা দিলে ক্লোরানট্রানিলিপ্রোল ও থায়মেনথক্সাম গ্রুপের ভিরতাকো ব্যবহার করা যেতে পারে। এ জাতটি পাতা পোড়া রোগ মধ্যম প্রতিরোধী। রোগবালাই যেমন- খোলপচাঁ দেখা দিলে হেক্সাকোনাজল বা ডাইফেনোকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক প্রতি একরে ২০০ মিলি মাত্রায় প্রয়োগ করা যেতে পারে। এছাড়া ব্লাস্ট রোগ দমনের জন্য ট্রুপার/ নাটিভো/ সেলটিমা একরে ১৬০ গ্রাম মাত্রায় প্রয়োগ করা যেতে পারে।

হেক্টর প্রতি ফলনঃ উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিচর্যায় বিনাধান-১৮ এর ফলন হয় হেক্টর প্রতি গড়ে ৭.২৫ টন ও সর্বোচ্চ ১০ টন।

binadhan18


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন

ধান ফসল বিশেষজ্ঞ

(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)

কল করুনঃ কল করুনঃ +8801710763003

ই-মেইলঃ makazad.pbdbina@yahoo.com

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী

ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ

মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২


বিনা কৃষি প্রযুক্তি

জাতের নামঃ বিনাধান-২৪

জাতের বৈশিষ্টঃ
o উচ্চ ফলনশীল, স্বল মেয়াদি (জীবনকাল ১৪৩-১৪৫ দিন)।
o আলোক অসংবেদনশীল এবং লম্বা ও মাঝারি চিকন দানা বিশিষ্ট ।
o ধান পরিপক্কতা অবস্থায়ও ডিগপাতা গাড় সবুজ ও খাড়া থাকে ।
o গাছ শক্ত বলে মোটেই হেলে পড়ে না।
o পূর্ণ বয়স্ক গাছ ৯৫-৯৭ সে. মি. লম্বা।

জমি ও মাটিঃ লবণাক্ত এলাকা ছাড়া দেশের সকল বোরো অঞ্চলে জাতটির চাষাবাদ করা যায়।

জমি তৈরীঃ জাতটির চাষাবাদ পদ্ধতি অন্যান্য উফশী বোরো জাতের মতই।

বপন ও রোপণের সময়ঃ নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ হতে চতুর্থ সপ্তাহের (১-১৫ অগ্রহায়ণ) মধ্যে বীজ তলায় বীজ বপনের উপযুক্ত সময়।

বীজ হারঃ প্রতি হেক্টর জমি চাষের জন্য ২৫-৩০ কেজি বা এক একর জমির জন্য ১০-১২ কেজি বীজ প্রয়োজন হয়।

বীজ শোধনঃ উপযুক্ত ফলন নিশ্চিত করতে হলে পুষ্ট ও রোগবালাই মুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে। প্রতি ১০ কেজি বীজ শোধনের জন্য ২৫ গ্রাম ভিটাভ্যাক্স-২০০ ব্যবহার করলে ভাল হয়।

সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ উর্বর ও স্বল্প উর্বর জমিতে বীজতলা তৈরী করলে কোন রূপ সার প্রয়োজন হয়না। অনুর্বর ও স্বল্প উর্বর জমিতে কেবল দুই কেজি পঁচা গোবর বা আবর্জনা সার প্রয়োগ করলেই চলে। চারা গজানোর পর গাছ হলুদ হয়ে গেলে দু’সপ্তাহ পর প্রতিবর্গ মিটারে ৭ গ্রাম ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগের পর জমি থেকে পানি নিষ্কাশণ করা যাবে না। প্রতি হেক্টরেঃ ইউরিয়াঃ ২৩০-২৫০ কেজি, টিএসপিঃ ১১০-১২০ কেজি, এমওপিঃ ৬০-৮০ কেজি, জিপসামঃ ৪৫-৫০ কেজি ও দস্তা: ৩.০-৪.০ কেজি। প্রয়োগের নিয়মঃ রোপার জন্য জমি তৈরীর শেষ চাষের আগে সম্পূর্ণ টিএসপি এবং অর্ধেক এমওপি জমিতে সমভাবে ছিটিয়ে চাষের মাধ্যমে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া সার অর্ধেক ও এমওপি সারের এক চতুর্থাংশ পরিমাণ চারা রোপনের ১০-১২ দিন পর, এবং বাকি অর্ধেক ইউরিয়া ও এমওপি সারের অবশিষ্ট এক চতুর্থাংশ ২৫-৩০ দিন পর জমির উর্বরতার উপর নির্ভর করে প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার প্রয়োগের ২/১ দিন আগে জমির অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে হবে এবং প্রয়োজন হলে আগাছা দমন করতে হবে। জমির উর্বরতা ও ফসলের অবস্থার উপর নির্ভর করে ইউরিয়া সার প্রয়োগমাত্রার তারতম্য করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে টিএসপি ও দস্তা সার একই সাথে প্রয়োগ করা যাবেনা। তাই এক্ষেত্রে এক চাষ পূর্বে টিএসপি প্রয়োগ করতে হবে এবং শেষ চাষের সময় ইউরিয়া ছাড়া অন্যান্য সার ছিটিয়ে প্রয়োগ করা অবশ্যক।

সেচ ও নিষ্কাশনঃ থোড় অবস্থা থেকে দুধ অবস্থা পর্যন্ত জমিতে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে। ধান পাকার ১০-১২ দিন আগে জমির পানি শুকিয়ে ফেলা ভাল।

আগাছা দমন ও মালচিং: চারা রোপনের পর আগাছা দেখা দিলে নিড়ানী বা হাতের সাহায্যে আগাছা পরিষ্কার এবং মাটি নরম করতে হবে ।

বালাইব্যবস্থাপনাঃ জাতটি বিভিন্ন রোগ যথা-পাতা পোড়া, খোল পোড়া, খোল পঁচা, ইত্যাদি রোগ তুলনামূলকভাবে প্রতিরোধ করতে পারে। মাজরা পোকা, সবুজ পাতা ফড়িং বাদামী গাছ ফড়িং ইত্যাদি পোকার আক্রমণ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা ও তুলনামূলকভাবে বেশী। রোগবালাই ও কীট পতঙ্গের আক্রমণ দেখা দিলে নিকটস্থ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার উপদেশ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। মাজরা পোকার আক্রমন এর সম্ভাবনা থাকলে দানাদার কীটনাশক (রাজধান-১০জি)প্রথম কিস্তি ইউরিয়া সারের সাথে মিশিয়ে ছিটিয়ে দিতে হবে । তবে যদি মাজরা পোকা আক্রমন হয়েই থাকে সেক্ষেত্রে ভিরতাকো স্প্রে করতে হবে। পাতা পোড়া এর লক্ষণ দেখা দিলে বিসমার্থিওজল গুপের (ব্যাকট্রেল)২ গ্রাম/লিটার হিসেবে স্প্রে করতে হবে। এছাড়া ব্লাস্ট রোগ দমনের জন্য ট্রুপার একর প্রতি ১৫০ মিলি হারে ২০০ লিটার পানিতে সেপ্র করা যেতে পারে। খোল ঝলসানো বা সিথব্লাইট রোগ দেখা গেলে ফলিকুর (টেবুকোনাজল) বা স্কোর (ডাইফেনোকোনাজল) একর প্রতি ২০০ মিলি হারে ২০০ লিটার পানিতে মিশিয়ে থোর আসার সময় বা তার পরপরই সেপ্র করা যেতে পারে। পোকামাকড় দমনের জন্য আইপিএম পদ্ধতিই সবচেয়ে ভাল ।

হেক্টর প্রতি ফলনঃ হেক্টর প্রতি গড়ে ৬.৫ টন এবং সর্বোচ্চ ৯.০ টন।

binadhan24


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন

ধান ফসল বিশেষজ্ঞ

(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)

কল করুনঃ কল করুনঃ +০১৭৫৬৯২৬৬৮০

ই-মেইলঃ imtiazukm@gmail.com

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী

ড. মোঃ ইমতিয়াজ উদ্দিন

মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

বায়োটেকনোলজি বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২।


বিনা কৃষি প্রযুক্তি

জাতের নামঃ বিনাধান-২৫

জাতের বৈশিষ্টঃ
o প্রিমিয়াম কোয়ালিটি / উন্নত গুণাগুণ (অতি লম্বা ও সরু) সম্পন্ন উচ্চফলনশীল, আলোক অসংবেদনশীল ও স্বল্প মেয়াদী (১৩৮-১৪৮ দিন) বোরো ধানের জাত।
o এ জাতের ডিগ পাতা খাড়া, সরু ও মধ্যম, রং গাঢ় সবুজ। ধান পরিপক্ক হওয়ার পরও ডিগাপাতা গাঢ় সবুজ এবং খাড়া থাকে।
o এ জাতের গাছ লম্বা কিন্তু শক্ত হেলে পড়ে না । পূর্ণ বয়স্ক গাছের উচ্চতা ১১৬ সে.মি.।
o প্রতি গাছে ১০-১২টি কুশি থাকে। ছড়ার দৈর্ঘ্য গড়ে ২৭.০ সে.মি. লম্বা।
o প্রতি শীষে পুষ্ট দানার পরিমাণ ১৫০-১৫৫টি। ১০০০ টি পুষ্ট ধানের ওজন গড়ে ১৯.৭ গ্রাম।
o ধানের দানায় অ্যামাইলোজের পরিমাণ শতকরা ২৫.১ ভাগ এবং প্রোটিনের পরিমাণ শতকরা ৬.৬ ভাগ।
o ভাত সাদা, ঝরঝরে ও সুস্বাদু ফলে বাজারমূল্য বেশি এবং রপ্তানী উপযোগী।

জমি ও মাটিঃ বেলে দো-আঁশ এবং এটেল দো-আঁশ জমি এই জাতের চাষের উপযোগী। লবণাক্ত এলাকা ছাড়া দেশের সকল উঁচু ও মধ্যম উঁচু (যেখানে দীর্ঘ দিন পানি জমে থাকে না) জমিতে এ জাতটি চাষ উপযোগী।

জমি তৈরীঃ জাতটির চাষাবাদ পদ্ধতি অন্যান্য উচ্চ ফলনশীল বোরো জাতের মতই।

বপন ও রোপণের সময়ঃ বোরো মৌসুমে অঞ্চলভেদে নভেম্বর মাসের ৩য় সপ্তাহ হতে ডিসেম্বরে ৩য় সপ্তাহ (অগ্রহায়ণের ১ম সপ্তাহ থেকে পৌষের ১ম সপ্তাহ) ।

বীজ হারঃ প্রতি হেক্টর জমি চাষের জন্য ২৫-৩০ কেজি বা এক একর জমির জন্য ১০-১২ কেজি এবং বিঘা প্রতি ৩-৪ কেজি বীজ প্রয়োজন হয়।

বীজ শোধনঃ ভাল ফলন নিশ্চিত করতে হলে ভাল, পুষ্ট ও রোগবালাইমুক্ত বীজ বাছাই করতে হবে। বপনের পূর্বে বীজ শোধন করা ভাল। বীজ শোধনের জন্য প্রতি ১০ কেজি বীজে ২০-২৫ গ্রাম প্রোভ্যাক্স / ভিটাভ্যাক্স-২০০ বা ব্যাভিস্টিন ২ গ্রাম হারে ব্যবহার করা যেতে পারে। বীজ শোধনের জন্য মাত্রানুযায়ী ছত্রাকনাশক মিশিয়ে একটি বদ্ধ পাত্রে ৪৮ ঘন্টা রাখা আবশ্যক।

সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ বীজতলার জন্য উর্বর ও স্বল্প উর্বর জমিতে বীজতলা তৈরী করলে কোনরূপ সার প্রয়োজন হয়না। অনুর্বর ও স্বল্প উর্বর জমিতে কেবল দুই কেজি পঁচা গোবর বা আবর্জনা সার প্রয়োগ করলেই চলে। চারা গজানোর পর গাছ হলুদ হয়ে গেলে দু’সপ্তাহ পর প্রতি বর্গ মিটারে ৭ গ্রাম ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগের পর জমি থেকে পানি নিষ্কাশণ করা যাবেনা। প্রতি হেক্টরে: ইউরিয়া ১০০-১২০ কেজি, টিএসপি ৮০-১০০ কেজি ও এমওপি ৩০-৪০ কেজি। রোপা ক্ষেতের জন্যঃ প্রতি হেক্টরেঃ ইউরিয়া ২০০-২৩০ কেজি, টিএসপি ১০০-১২৫ কেজি, এমওপি ১২০-১৪০ কেজি, জিপসাম ৬৫-৮০ কেজি, জিংক সালফেট ৬.৭-৭.৫ কেজি প্রয়োগের নিয়ম: রোপার জন্য জমি তৈরীর শেষ চাষের আগে সম্পূর্ণ টিএসপি , এমওপি, জিপসাম ও জিংক সালফেট জমিতে সমভাবে ছিটিয়ে চাষের মাধ্যমে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া সারের এক-তৃতীয়াংশ পরিমাণ চারা রোপনের ৭-১০ দিন পর, এক-তৃতীয়াংশ ইউরিয়া পরিমাণ চারা রোপনের ১৫-২০ দিন পর এবং বাকি এক-তৃতীয়াংশ ইউরিয়া পরিমাণ চারা রোপনের ২০-২৫ দিন পর জমির উর্বরতার উপর নির্ভর করে প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার প্রয়োগের ২/১ দিন আগে জমির অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে হবে এবং প্রয়োজন হলে আগাছা দমন করতে হবে। জমির উর্বরতা ও ফসলের অবস্থার উপর নির্ভর করে ইউরিয়া সার প্রয়োগ মাত্রার তারতম্য করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে টিএসপি ও জিংক সালফেট সার একই সাথে প্রয়োগ করা যাবেনা। তাই এক্ষেত্রে একচাষ পূর্বে টিএসপি প্রয়োগ করতে হবে এবং শেষ চাষের সময় ইউরিয়া ছাড়া অন্যান্য সার ছিটিয়ে প্রয়োগ করা আবশ্যক।

সেচ ও নিষ্কাশনঃ চারা রোপনের পর থেকে জমিতে ৩-৫ সে.মি. এবং গাছ বড় হবাব সাথে সাথে পানির মাত্রা বাড়িয়ে দিতে হবে। জমিতে অধিক পানি জমে গেলে মাঝে মাঝে পানি বের করে জমি শুকিয়ে ফেলতে হবে এবং পরে আবার পানি দিতে হবে। তবে ধান গাছে থোড় আসার সময় অবশ্যই জমিতে ৩-৫ সে.মি. পানি থাকা প্রয়োজন। ধান পাকার ১০/১২ দিন আগে জমি হতে পানি বের করে দিতে হবে।

আগাছা দমন ও মালচিং: চারা রোপনের পর থেকে শুরু করে ৩৫-৪০ দিন পর্যন্ত জমিকে আগাছামুক্ত রাখতে হবে। হাত দিয়ে অথবা নিড়ানী যন্ত্র ব্যবহার করে দু’বার (১ম দফা ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগের পূর্বে একবার এবং ২য় দফা ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগের পূর্বে আর একবার) আগাছা পরিষ্কার করতে হবে এবং মাটি নরম করে মালচিং করে দিতে হবে।

বালাইব্যবস্থাপনাঃ বিনা ধান-২৫ জাতে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রচলিত জাতের তুলনায় অনেক কম। এ জাতটি মাজরা পোকার আক্রমন মধ্যম প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। পোকার আক্রমন বেশি হলে ভাল ফলনের জন্য অবশ্যই বালাইনাশক প্রয়োগ করা প্রয়োজন। মাজরা পোকা দেখা দিলে, ক্লোরান্ট্রানিলিপ্রোল + থায়োমেক্সাম গ্রুপ এর কীটনাশক ৭৫ গ্রাম/হেক্টর হিসেবে, পাতা মোড়ানো পোকা ও চুঙ্গি পোকার জন্য ক্লোরান্ট্রানিলিপ্রোল গ্রুপের কীটনাশক ১.৩ কেজি/হেক্টর হিসেবে, বাদামি গাছ ফড়িং এর জন্য মিপসিন (৭৫ ডাব্লিউপি) (১.৩ কেজি/হেক্টর ) / প্লিনাম (৫০ ডাব্লিউপি) (০.৩ কেজি/হেক্টর) / এডমায়ার (২০ এসএল) (১২৫ মি.লি/হে.) ৫-৭ দিন পরপর দু’বার স্প্রে করতে হবে। ধানের ব্লাস্ট রোগের জন্য প্রাথমিক অবস্থায় ট্রুপার (৫৩ গ্রাম/বিঘা) / নাটিভো (৩৩ গ্রাম/বিঘা) স্প্রে করতে হবে। তবে নেক ব্লাস্ট রোগের জন্য ধানের ফুল আসার পর্যায়ে ট্রুপার (৫৪ গ্রাম/বিঘা) / নাটিভো (৩৩ গ্রাম/বিঘা) অথবা ট্রাইসাক্লাজল গ্রুপের বালাইনাশক ৫-৭দিন অন্তর দু’বার স্প্রে করতে হবে। খোল পচা রোগের জন্য ফলিকিউর (৬৬ মি.লি./বিঘা) / স্কোর (৬৬ মি.লি./বিঘা) ৫-৭ দিন পরপর দু’বার স্প্রে করতে হবে।

হেক্টর প্রতি ফলনঃ ফলন হয় হেক্টর প্রতি গড়ে ৭.৬ টন ও সর্বোচ্চ ৮.৭ টন।

binadhan25


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন

ধান ফসল বিশেষজ্ঞ

(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)

কল করুনঃ কল করুনঃ +৮৮০১৭৩১৫৫৬২৩২

ই-মেইলঃ sakina_khanam2003@yahoo.com

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী

ড. সাকিনা খানম

প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২