বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল মসুর ডাল সম্পর্কে জানতে ট্যাব সিলেক্ট করুন।
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল মসুর ডাল সম্পর্কে জানতে ট্যাব সিলেক্ট করুন।
জাতের নামঃ বিনামসুর-৩
জাতের বৈশিষ্টঃজমি ও মাটিঃ দো-আঁশ ও এটেল দো-আঁশ মাটি মসুর চাষের উপযোগী। বিশেষ করে ঝিনাইদহ, মাগুরা, যশোর, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, চূয়াডাঙ্গা, রাজশাহী, নাটোর ও পাবনা অঞ্চলে ভাল হয়।
জমি তৈরীঃ তিন-চারটি চাষ ও মই দিয়ে আগাছা পরিস্কার করে জমি তৈরী করতে হয়। জমি উত্তমভাবে ঝুরঝুরে করে নেওয়া ভাল।
বপণের সময়ঃ কার্তিক মাসের ২য় সপ্তাহ থেকে কার্তিক মাসের ৪র্থ সপ্তাহ (অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ) পর্যন্ত বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। তবে বিনামসুর-৩ জাতটি (নভেম্বরের ২৫ তারিখ পর্যন্ত) বিলম্বে বপনের উপযোগী।
বীজ হারঃ ছিটিয়ে বপন করলে একর প্রতি ১৪-১৬ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়। তবে সারিতে বপন করলে একর প্রতি দুই কেজি বীজ কম লাগে। সাধারনত: চাষ করা জমিতে বীজ ছিটিয়ে বোনার পর মই দিয়ে বীজ গুলো ঢেকে দিতে হবে। সারিতে বপন করলে পরিচর্যা সহজ হয়। সারিতে বপনের ক্ষেত্রে সারি থেকে সারির দূরত্ব ৩০ সেমি (১ ফুট) এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ৫-৮ সেন্টিমিটার রাখতে হবে।
বীজ উপযুক্ত ফলন নিশ্চিত করতে হলে পুষ্ট ও রোগবালাই মুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে। প্রতি ১০ কেজি বীজ শোধনরে জন্য ২৫ গ্রাম প্রোভ্যাক্স ব্যবহার করলে ভাল হয়।
সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ জমিতে শেষ চাষের সময় নিম্নরুপ সার ব্যবহার করতে হয়ঃ জমিতে শেষ চাষের সময় নিম্নরুপ সার ব্যবহার করতে হয়ঃ
সারের নাম | কেজি/হেক্টর | কেজি/একর |
---|---|---|
ইউরিয়া | ৩২ | ১৩ |
টিএসপি | ৭৭ | ৩১ |
এমওপি | ৩২ | ১৩ |
জিপসাম | ৫০-৭০ | ২০-২৮ |
জিংক সালফেট | ৫.০ | ২.০ |
মলিবডেনাম | ০.৫-২.০ | ০.২-০.৮ |
জীবাণুসার (ইউরিয়ার পরিবর্তে) | ১.৫ | ০.৬ |
সেচ ও নিষ্কাশনঃ অতি বৃষ্টির ফলে জমিতে যাতে পানি জমে না থাকে সেজন্য পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। মসুরে সাধারণত: সেচের প্রয়োজন পড়ে না। তবে অতি খরা হলে একটি সেচ দেয়া যেতে পারে।
আগাছা দমনঃ চারা গজানোর পর জমিতে আগাছা দেখা দিলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিড়ানী দ্বারা আগাছাগুলো পরিস্কার করে ফেলতে হবে।
বালাইব্যবস্থাপনাঃ বিনামসুর-৩ জাত মরিচা ও ঝলসানো (ব্লাইট) রোগ সহ্যক্ষমতা সম্পন্ন। তাছাড়া এ জাতে পোকার আক্রমণ তুলনামূলকভাবে কম। তবে পোকার আক্রমণ দেখা দিলে সবিক্রন-৪২৫ ইসি বা ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি অথবা বাজারে প্রচলিত কীটনাশক মাত্রা অনুযায়ী স্প্রে করলে সুফল পাওয়া যায়। সাধারনত: কোন ছত্রাক নাশক ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। তবে ছত্রাকের আক্রমন হলে টিল্ট ২৫০ ইসি ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানির সাথে মিশ্রিত করে ১২-১৫ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
হেক্টর প্রতি ফলনঃ হেক্টর প্রতি ২৪০০ কেজি, তবে গড় ফলন ১৮০০ কেজি/হেক্টর।
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন
ডাল ফসল বিশেষজ্ঞ
(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)
কল করুনঃ +৮৮০১৭১০৮৭৯৮১৩
ই-মেইলঃ islamtariqul05@yahoo.com
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী
ড. মো. তারিকুল ইসলাম
প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা
ক্রপ ফিজিলজি বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২
জাতের নামঃ বিনামসুর-৫
জাতের বৈশিষ্টঃজমি ও মাটিঃ দো-আঁশ হতে এঁটেল দো-আঁশ মাটি উপযোগী। তবে বৃহত্তর ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোহর, পাবনা, নাটোর, রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জ জেলায় ভাল জন্মে।
জমি তৈরীঃ তিন-চারটি চাষ ও মই দিয়ে আগাছা পরিস্কার করে জমি তৈরী করতে হয়। জমি উত্তম ভাবে ঝুর ঝুরে করে নেয়া ভাল।
বপণের সময়ঃ কার্তিক মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে অগ্রহায়নের প্রথম (অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্ববের দ্বিতীয় সপ্তাহ) পর্যন্তবীজ ধপনের উপযুক্ত সময়। বিলম্বে বীজ বপন করলে ফলন হ্রাস পায়। বিনামসুর-৫ জাতটি অগ্রহায়ন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত বপন করা যায় এবং সন্তোষজনক ফলন পাওয়া যায়।
বীজ হারঃ ছিটিয়ে বপন করলে একর প্রতি ১৪-১৬ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়। তবে সারিতে বপন করলে একর প্রতি দুই কেজি বীজ কম লাগে। সাধারনত: চাষ করা জমিতে বীজ ছিটিয়ে বোনার পর মই দিয়ে বীজ গুলো ঢেকে দিতে হবে্। সারিতে বপন করলে পরিচর্যা সহজ হয়। সারিতে বপনের ক্ষেত্রে সারি থেকে সারির দূরন্ত ৩০ সে.মি (১ ফুট) এবং গাছ থেকে গাছের দূরন্ত ৫-৮ সেন্টিমিটার রাখতে হবে।
বীজ শোধনঃ উপযুক্ত ফলন নিশ্চিত করতে হলে পুষ্ট ও রোগবালাই মুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে। প্রতি ১০ কেজি বীজ শোধনের জন্য ২৫ গ্রাম প্রোভ্যাক্স ব্যবহার করলে ভাল হয়।
সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ প্রতি হেক্টরেঃ ইউরিয়াঃ ৩০-৩৫ কেজি, টিএসপিঃ ৮০-৯০ কেজি, এমওপিঃ ৩০-৩৫ কেজি, জিপসামঃ ২৫-৩ কেজি ও দসত্মাঃ ২.০-৩.০ কেজি।
প্রয়োগের নিয়মঃ
জমি তৈরীর শেষ চাষের আগে সম্পূর্ণ সার জমিতে সমভাবে ছিটিয়ে চাষের মাধ্যমে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। জমির উর্বরতা ও ফসলের অবস্থার উপর নির্ভর করে সার প্রয়োগ মাত্রার তারতম্য করা যেতে পারে।
সেচ ও নিষ্কাশনঃ অতি বৃষ্টির ফলে জতিতে যাতে পানি জমে না থাকে সেজন্য পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। মসুরে সাধারণত: সেচের প্রয়োজন পড়ে না। তবে অতি খরা হলে এটি সেচ দেয়া যেতে পারে।
আগাছা দমন ও মালচিং: চারা গজানো পর ২৫-৩৫ দিন পর নিড়ানীর দিতে হবে এবং নিড়ানীর সাথে বেশী ঘন গাছ পাতলা করে দিতে হবে।
বালাইব্যবস্থাপনাঃ এ জাতটি গোড়া পচাঁ ও মরিচা রোগ সহ্য ক্ষমতা সপন্ন। গোড়া পচাঁ রোগ দমনের জন্য প্রোভ্যাক্স প্রতি কেজি বীজে ২.৫-৩.০০ গ্রাম মিশিয়ে বীজ শোধন করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়। স্টেমফাইলামজনিত ঝলসানো রোগ দেখা দেওয়া মাত্র রোভরাল-৫০ ডব্লিউপি নামক ছত্রাক নাশক (০.২%) ১০ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে। মরিচা রোগ দমনের জন্য টিল্ট-২৫০ ইসি (০.০৪%) ১২-১৫ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে। তাছাড়া এ জাতে পোকার আক্রমন তুলনামূলক খুবই কম। তবে পোকার আক্রমন দেখা দিলে কীটনাশক রিপকর্ড ১০ ইসি মাত্রা অনুয়ারী স্প্রে করলে সুফল পাওয়া যায়।
হেক্টর প্রতি ফলনঃ যথোপযুক্ত পরিচর্যায় গড়ে ২.০ টন এবং সর্বোচ্চ ২.৩ টন ফলন পাওয়া যায়।
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন
ডাল ফসল বিশেষজ্ঞ
(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)
কল করুনঃ +8801779667828
ই-মেইলঃ agsnigdharoy@gmail.com
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী
ড. স্নিগ্ধা রায়
উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা
উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২
জাতের নামঃ বিনামসুর-৬
জাতের বৈশিষ্টঃজমি ও মাটিঃ দো-আঁশ হতে এঁটেল দো-আঁশ মাটি উপযোগী। তবে বৃহত্তর ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোহর, পাবনা, নাটোর, রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জ জেলায় ভাল জন্মে।
জমি তৈরীঃ তিন-চারটি চাষ ও মই দিয়ে আগাছা পরিস্কার করে জমি তৈরী করতে হয়। জমি উত্তম ভাবে ঝুর ঝুরে করে নেয়া ভাল।
বপণের সময়ঃ কার্তিক মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে অগ্রহায়নের প্রথম (অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্ববের দ্বিতীয় সপ্তাহ) পর্যন্তবীজ ধপনের উপযুক্ত সময়। বিলম্বে বীজ বপন করলে ফলন হ্রাস পায়। বিনামসুর-৬ জাতটি অগ্রহায়ন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত বপন করা যায় এবং সন্তোষজনক ফলন পাওয়া যায়।
বীজ হারঃ ছিটিয়ে বপন করলে একর প্রতি ১৪-১৬ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়। তবে সারিতে বপন করলে একর প্রতি দুই কেজি বীজ কম লাগে। সাধারনত: চাষ করা জমিতে বীজ ছিটিয়ে বোনার পর মই দিয়ে বীজ গুলো ঢেকে দিতে হবে্। সারিতে বপন করলে পরিচর্যা সহজ হয়। সারিতে বপনের ক্ষেত্রে সারি থেকে সারির দূরন্ত ৩০ সে.মি (১ ফুট) এবং গাছ থেকে গাছের দূরন্ত ৫-৮ সেন্টিমিটার রাখতে হবে।
বীজ শোধনঃ উপযুক্ত ফলন নিশ্চিত করতে হলে পুষ্ট ও রোগবালাই মুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে। প্রতি ১০ কেজি বীজ শোধনের জন্য ২৫ গ্রাম প্রোভ্যাক্স ব্যবহার করলে ভাল হয়।
সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ প্রতি হেক্টরেঃ ইউরিয়াঃ ৩০-৩৫ কেজি, টিএসপিঃ ৮০-৯০ কেজি, এমওপিঃ ৩০-৩৫ কেজি, জিপসামঃ ২৫-৩ কেজি ও দস্তা ২.০-৩.০ কেজি।
প্রয়োগের নিয়মঃ
জমি তৈরীর শেষ চাষের আগে সম্পূর্ণ সার জমিতে সমভাবে ছিটিয়ে চাষের মাধ্যমে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। জমির উর্বরতা ও ফসলের অবস্থার উপর নির্ভর করে সার প্রয়োগ মাত্রার তারতম্য করা যেতে পারে।।
সেচ ও নিষ্কাশনঃ অতি বৃষ্টির ফলে জতিতে যাতে পানি জমে না থাকে সেজন্য পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। মসুরে সাধারণত: সেচের প্রয়োজন পড়ে না। তবে অতি খরা হলে এটি সেচ দেয়া যেতে পারে।
আগাছা দমন ও মালচিং: চারা গজানো পর ২৫-৩৫ দিন পর নিড়ানীর দিতে হবে এবং নিড়ানীর সাথে বেশী ঘন গাছ পাতলা করে দিতে হবে।
বালাইব্যবস্থাপনাঃ এ জাতটি গোড়া পচাঁ ও মরিচা রোগ সহ্য ক্ষমতা সপন্ন। গোড়া পচাঁ রোগ দমনের জন্য প্রোভ্যাক্স প্রতি কেজি বীজে ২.৫-৩.০০ গ্রাম মিশিয়ে বীজ শোধন করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়। স্টেমফাইলামজনিত ঝলসানো রোগ দেখা দেওয়া মাত্র রোভরাল-৫০ ডবলিউপি নামক ছত্রাক নাশক (০.২%) ১০ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে। মরিচা রোগ দমনের জন্য টিল্ট-২৫০ ইসি (০.০৪%) ১২-১৫ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে। তাছাড়া এ জাতে পোকার আক্রমন তুলনামূলক খুবই কম। তবে পোকার আক্রমন দেখা দিলে কীটনাশক রিপকর্ড ১০ ইসি মাত্রা অনুয়ারী স্প্রে করলে সুফল পাওয়া যায়।
হেক্টর প্রতি ফলনঃ যথোপযুক্ত পরিচর্যায় হেক্টর প্রতি গড়ে ১.৯ টন এবং সর্বোচ্চ ১.৯৫ টন ফলন পাওয়া যায়।।
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন
ডাল ফসল বিশেষজ্ঞ
(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)
কল করুনঃ +8801779667828
ই-মেইলঃ agsnigdharoy@gmail.com
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী
ড. স্নিগ্ধা রায়
উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা
উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২
জাতের নামঃ বিনামসুর-৮
জাতের বৈশিষ্টঃজমি ও মাটিঃ দো-আঁশ হতে এঁটেল দো-আঁশ মাটি উপযোগী। তবে বৃহত্তর ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোহর, পাবনা, নাটোর, রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জ জেলায় ভাল জন্মে।
জমি তৈরীঃ তিন-চারটি চাষ ও মই দিয়ে আগাছা পরিস্কার করে জমি তৈরী করতে হয়। জমি উত্তম ভাবে ঝুর ঝুরে করে নেয়া ভাল।
বপণের সময়ঃ কার্তিক মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে অগ্রহায়নের প্রথম (অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্ববের দ্বিতীয় সপ্তাহ) পর্যন্ত বীজ ধপনের উপযুক্ত সময়। বিলম্বে বীজ বপন করলে ফলন হ্রাস পায়। বিনামসুর-৮ জাতটি অগ্রহায়ন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত বপন করা যায় এবং সন্তোষজনক ফলন পাওয়া যায়।
বীজ হারঃ ছিটিয়ে বপন করলে একর প্রতি ১৪-১৬ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়। তবে সারিতে বপন করলে একর প্রতি দুই কেজি বীজ কম লাগে। সাধারনত: চাষ করা জমিতে বীজ ছিটিয়ে বোনার পর মই দিয়ে বীজ গুলো ঢেকে দিতে হবে্। সারিতে বপন করলে পরিচর্যা সহজ হয়। সারিতে বপনের ক্ষেত্রে সারি থেকে সারির দূরন্ত ৩০ সে.মি (১ ফুট) এবং গাছ থেকে গাছের দূরন্ত ৫-৮ সেন্টিমিটার রাখতে হবে।
বীজ শোধনঃউপযুক্ত ফলন নিশ্চিত করতে হলে পুষ্ট ও রোগবালাই মুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে। প্রতি ১০ কেজি বীজ শোধনের জন্য ২৫ গ্রাম প্রোভ্যাক্স ব্যবহার করলে ভাল হয়।
সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ প্রতি হেক্টরেঃ ইউরিয়াঃ ৩০-৩৫ কেজি, টিএসপিঃ ৮০-৯০ কেজি, এমওপিঃ ৩০-৩৫ কেজি, জিপসামঃ ২৫-৩ কেজি ও দস্তা: ২.০-৩.০ কেজি।
প্রয়োগের নিয়মঃ
জমি তৈরীর শেষ চাষের আগে সম্পূর্ণ সার জমিতে সমভাবে ছিটিয়ে চাষের মাধ্যমে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। জমির উর্বরতা ও ফসলের অবস্থার উপর নির্ভর করে সার প্রয়োগ মাত্রার তারতম্য করা যেতে পারে।
সেচ ও নিষ্কাশনঃ অতি বৃষ্ঠির ফলে জতিতে যাতে পানি জমে না থাকে সেজন্য পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। মসুরে সাধারণত: সেচের প্রয়োজন পড়ে না। তবে অতি খরা হলে এটি সেচ দেয়া যেতে পারে।
আগাছা দমন ও মালচিং: চারা গজানো পর ২৫-৩৫ দিন পর নিড়ানীর দিতে হবে এবং নিড়ানীর সাথে বেশী ঘন গাছ পাতলা করে দিতে হবে।
বালাইব্যবস্থাপনাঃ এ জাতটি গোড়া পচাঁ ও মরিচা রোগ সহ্য ক্ষমতা সপন্ন। গোড়া পচাঁ রোগ দমনের জন্য প্রোভ্যাক্স প্রতি কেজি বীজে ২.৫-৩.০০ গ্রাম মিশিয়ে বীজ শোধন করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়। স্টেমফাইলামজনিত ঝলসানো রোগ দেখা দেওয়া মাত্র রোভরাল-৫০ ডবলিউপি নামক ছত্রাক নাশক (০.২%) ১০ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে। মরিচা রোগ দমনের জন্য টিল্ট-২৫০ ইসি (০.০৪%) ১২-১৫ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে। তাছাড়া এ জাতে পোকার আক্রমন তুলনামূলক খুবই কম। তবে পোকার আক্রমন দেখা দিলে কীটনাশক রিপকর্ড ১০ ইসি মাত্রা অনুয়ারী স্প্রে করলে সুফল পাওয়া যায়।
হেক্টর প্রতি ফলনঃ যথোপযুক্ত পরিচর্যায় গড়ে ২.২ টন এবং সর্বোচ্চ ২.৪ টন ফলন পাওয়া যায়।
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন
ডাল ফসল বিশেষজ্ঞ
(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)
কল করুনঃ +8801779667828
ই-মেইলঃ agsnigdharoy@gmail.com
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী
ড. স্নিগ্ধা রায়
উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা
উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২
জাতের নামঃ বিনামসুর-১০
জাতের বৈশিষ্টঃজমি ও মাটিঃ সব কয়টি জাতের জন্যই দো-আঁশ হতে এঁটেল দো-আঁশ মাটি উপযোগী। তবে বৃহত্তর ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোহর, পাবনা, নাটোর, রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জ জেলায় যেখানে পানির অভাব রয়েছে সেখানে ভাল জন্মে।
জমি তৈরীঃ তিন-চারটি চাষ ও মই দিয়ে আগাছা পরিস্কার করে জমি তৈরী করতে হয়। জমি উত্তম ভাবে ঝুর ঝুরে করে নেয়া ভাল।
বপণের সময়ঃকার্তিক মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে অগ্রহায়নের প্রথম ( অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্ববের দ্বিতীয় সপ্তাহ ) পর্যন্ত বীজ ধপনের উপযুক্ত সময়। বিলম্বে বীজ বপন করলে ফলন হ্রাস পায়। বিনামসুর-১০ জাতটি অগ্রহায়ন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত বপন করা যায় এবং সন্তোষজনক ফলন পাওয়া যায়।
বীজ হারঃ একর প্রতি ১৪ কেজি বীজ ছিটিয়ে বা ১৬ কেজি বীজ ৩০ সে.মি. দূরত্বে সারিতে বপন করতে হবে।
বীজ শোধনঃ উপযুক্ত ফলন নিশ্চিত করতে হলে পুষ্ট ও রোগবালাই মুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে। প্রতি ১০ কেজি বীজ শোধনের জন্য ২৫ গ্রাম প্রোভ্যাক্স ব্যবহার করলে ভাল হয়।
সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ একর প্রতি ১২-১৪ কেজি ইউরিয়া, ৩০-৩২ কেজি টিএসপি, ১২-১৪ কেজি এমপি সার শেষ চাষের সময় ছিটিয়ে দিতে হবে্। ইউরিয়ার পরিবর্তে জীবানু সার ব্যবহার করা যায়।। জিংকের অভাব থাকলে একর প্রতি এক কেজি জিংক সালফেট ছিটাতে হবে।
প্রয়োগের নিয়মঃ
জমি তৈরীর শেষ চাষের আগে সম্পূর্ণ সার জমিতে সমভাবে ছিটিয়ে চাষের মাধ্যমে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। জমির উর্বরতা ও ফসলের অবস্থার উপর নির্ভর করে সার প্রয়োগ মাত্রার তারতম্য করা যেতে পারে।
সেচ ও নিষ্কাশনঃ অতি বৃষ্টির ফলে জতিতে যাতে পানি জমে না থাকে সেজন্য পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। মসুরে সাধারণত: সেচের প্রয়োজন পড়ে না। তবে অতি খরা হলে এটি সেচ দেয়া যেতে পারে।
আগাছা দমন ও মালচিং: চারা গজানো পর ২৫-৩৫ দিন পর নিড়ানীর দিতে হবে এবং নিড়ানীর সাথে বেশী ঘন গাছ পাতলা করে দিতে হবে।
বালাইব্যবস্থাপনাঃ এ জাতটি গোড়া পচাঁ ও মরিচা রোগ সহ্য ক্ষমতা সপন্ন। গোড়া পচাঁ রোগ দমনের জন্য প্রোভ্যাক্স প্রতি কেজি বীজে ২.৫-৩.০০ গ্রাম মিশিয়ে বীজ শোধন করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়। স্টেমফাইলামজনিত ঝলসানো রোগ দেখা দেওয়া মাত্র রোভরাল-৫০ ডবলিউপি নামক ছত্রাক নাশক (০.২%) ১০ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে। মরিচা রোগ দমনের জন্য টিল্ট-২৫০ ইসি (০.০৪%) ১২-১৫ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে। তাছাড়া এ জাতে পোকার আক্রমন তুলনামূলক খুবই কম। তবে পোকার আক্রমন দেখা দিলে কীটনাশক রিপকর্ড ১০ ইসি মাত্রা অনুয়ারী স্প্রে করলে সুফল পাওয়া যায়।
হেক্টর প্রতি ফলনঃ যথোপযুক্ত পরিচর্যায় হেক্টর প্রতি খরা অবস্থায় ১.৫ টন এবং স্বাভাবিক অবস্থায় গড়ে ২.০ টন এবং সর্বোচ্চ ২.৫ টন ফলন পাওয়া যায়।
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন
ডাল ফসল বিশেষজ্ঞ
(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)
কল করুনঃ +8801779667828
ই-মেইলঃ agsnigdharoy@gmail.com
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী
ড. স্নিগ্ধা রায়
উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা
উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২
জাতের নামঃ বিনামসুর-৪
জাতের বৈশিষ্টঃজমি ও মাটিঃ দো-আঁশ ও এটেল দো-আঁশ মাটি মসুর চাষের উপযোগী। বিশেষ করে ঝিনাইদহ, মাগুরা, যশোর, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, চূয়াডাঙ্গা, রাজশাহী, নাটোর ও পাবনা অঞ্চলে ভাল হয়।
জমি তৈরীঃ তিন-চারটি চাষ ও মই দিয়ে আগাছা পরিস্কার করে জমি তৈরী করতে হয়। জমি উত্তমভাবে ঝুরঝুরে করে নেওয়া ভাল।
বপণের সময়ঃ কার্তিক মাসের ২য় সপ্তাহ থেকে কার্তিক মাসের ৪র্থ সপ্তাহ (অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ) পর্যন্ত বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। তবে বিনামসুর-৪ জাতটি (নভেম্বরের ২৫ তারিখ পর্যন্ত) বিলম্বে বপনের উপযোগী।
বীজ হারঃ ছিটিয়ে বপন করলে একর প্রতি ১৪-১৬ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়। তবে সারিতে বপন করলে একর প্রতি দুই কেজি বীজ কম লাগে। সাধারনত: চাষ করা জমিতে বীজ ছিটিয়ে বোনার পর মই দিয়ে বীজ গুলো ঢেকে দিতে হবে। সারিতে বপন করলে পরিচর্যা সহজ হয়। সারিতে বপনের ক্ষেত্রে সারি থেকে সারির দূরত্ব ৩০ সেমি (১ ফুট) এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ৫-৮ সেন্টিমিটার রাখতে হবে।
বীজ শোধনঃ উপযুক্ত ফলন নিশ্চিত করতে হলে পুষ্ট ও রোগবালাই মুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে। প্রতি ১০ কেজি বীজ শোধনরে জন্য ২৫ গ্রাম প্রোভ্যাক্স ব্যবহার করলে ভাল হয়।
সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
জমিতে শেষ চাষের সময় নিম্নরুপ সার ব্যবহার করতে হয়ঃ
সারের নাম | কেজি/হেক্টর | কেজি/একর |
---|---|---|
ইউরিয়া | ৩২ | ১৩ |
টিএসপি | ৭৭ | ৩১ |
এমওপি | ৩২ | ১৩ |
জিপসাম | ৫০-৭০ | ২০-২৮ |
জিংক সালফেট | ৫.০ | ২.০ |
মলিবডেনাম | ০.৫-২.০ | ০.২-০.৮ |
জীবাণুসার (ইউরিয়ার পরিবর্তে) | ১.৫ | ০.৬ |
প্রয়োগের নিয়মঃ জমি তৈরীর শেষে চাষের আগে সম্পূর্ণ সার জমিতে সমভাবে ছিটিয়ে চাষের মাধ্যমে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।জমির উর্বরতা ও ফসলের অবস্থার উপর নির্ভর করে সার প্রয়োগ মাত্রার তারতম্য করা যেতে পারে।
সেচ ও নিষ্কাশনঃ অতি বৃষ্টির ফলে জমিতে যাতে পানি জমে না থাকে সেজন্য পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। মসুরে সাধারণত: সেচের প্রয়োজন পড়ে না। তবে অতি খরা হলে একটি সেচ দেয়া যেতে পারে।
আগাছা দমন ও মালচিং: চারা গজানোর পর জমিতে আগাছা দেখা দিলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিড়ানী দ্বারা আগাছাগুলো পরিস্কার করে ফেলতে হবে।
বালাইব্যবস্থাপনাঃ বিনামসুর-৩ জাত মরিচা ও ঝলসানো (ব্লাইট) রোগ সহ্যক্ষমতা সম্পন্ন। তাছাড়া এ জাতে পোকার আক্রমণ তুলনামূলকভাবে কম। তবে পোকার আক্রমণ দেখা দিলে সবিক্রন-৪২৫ ইসি বা ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি অথবা বাজারে প্রচলিত কীটনাশক মাত্রা অনুযায়ী স্প্রে করলে সুফল পাওয়া যায়। সাধারনত: কোন ছত্রাক নাশক ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। তবে ছত্রাকের আক্রমন হলে টিল্ট ২৫০ ইসি ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানির সাথে মিশ্রিত করে ১২-১৫ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
হেক্টর প্রতি ফলনঃ হেক্টর প্রতি ২৫০০ কেজি, তবে গড় ফলন ১৮০০ কেজি/হেক্টর।
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন
ধান ফসল বিশেষজ্ঞ
(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)
কল করুনঃ +88017107879813
ই-মেইলঃ islamtariqul05@yahoo.com
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী
ড. মো. তারিকুল ইসলাম
প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা
ক্রপ ফিজিলজি বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২