বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল মুগ সম্পর্কে জানতে ট্যাব সিলেক্ট করুন।
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল মুগ সম্পর্কে জানতে ট্যাব সিলেক্ট করুন।
জাতের নামঃ বিনামুগ -৫
জাতের বৈশিষ্ট্যঃউপযোগী এলাকাঃ বেলে দো-আশ ও এটেল দো-আশ মাটি ছোলা চাষের উপযোগী। তবে লবণাক্ত ও জলাবদ্ধ এলাকা ব্যতীত সারা বাংলাদেশে চাষাবাদ করা যায়।
বপনের সময়ঃ অঞ্চলভেদে কিছুটা তারতম্য আছে। বরিশাল বিভাগের জেলা সমূহে জানুয়ারির ২য় সপ্তাহ হতে ফেব্রয়ারির ২য় সপ্তাহ পর্যন্ত মুগের বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে মধ্য ফেব্রয়ারির থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বীজ বপন করতে হয়।
বীজ শোধনঃ বীজ বপন করার সময় পিপড়ার আক্রমন হতে রক্ষার জন্য বীজ বপনের সাথেই সেভিন পাউডার বপনকৃত বীজের লাইনের সাথে ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ শেষ চাষের সময় জমিতে সার প্রয়োগের পরিমাণঃ হেক্টর প্রতি ৩০-৪০ কেজি ইউরিয়া, ৫০-৭০কেজি টিএসপি এবং ৩৫-৪০ কেজি এমওপি।
আগাছা দমন ও মালচিং: আগাছা দেখা দিলে নিড়ানী বা হাতের সাহায্যে আগাছা পরিষ্কার এবং মাটি নরম করে মালচিং করতে হবে ।
বালাইব্যবস্থাপনাঃ ছত্রাকজনিত রোগের আক্রমন হলে ডায়াথেন এম-৪৫ স্প্রে করতে হবে। ফল ছিদ্রকারী এবং জাপ পোকার আক্রমণ হলে সবিক্রন-৪২৫ ইসি বা ম্যালাথিয়ন-৫৭ ইসি জাতীয় কীটনাশক নির্দিষ্ট মাত্রায় বিকাল বেলা স্প্রে করতে হবে।
হেক্টর প্রতি ফলনঃ গড় ফলন-১৫০০ কেজি।
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন
ডাল ফসল বিশেষজ্ঞ
(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)
কল করুনঃ ০১৭১৬২৮০৭২১
ই-মেইলঃ sbluna98@yahoo.com.com
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী
ড. শামছুন্নহার বেগম
প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা
উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২
জাতের নামঃ বিনামুগ-৭
জাতের বৈশিষ্টঃজমি ও মাটিঃ বেলে দো-আঁশ ও দো-আঁশ মাটিতে এ জাত বপনে অধিক ফলন পাওয়া যায়। বৃষ্টি বা অন্য কোন কারণে জমিতে পানি জমে গেলে দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হয়।
জমি তৈরীঃ তিন-চারটি চাষ ও মই দিয়ে জমি তৈরী করে বীজ বপন করতে হয়।
বপণের সময়ঃ মুগডালের ফুল আসার সময় তাপমাত্রা ২৮-৩২°সেঃ থাকলে সবচেয়ে বেশি ফলন পাওয়া যায় এবং তাপমাত্রা ২৫° সেঃ এর নীচে গেলে ফুল ঝরে যায়। এজন্য মুগডালের বপন সময় অঞ্চলভেদে কিছুটা তারতম্য হয়। বরিশাল বিভাগের জেলাসমূহে মাঘ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শেষদিন (জানুয়ারির তৃতীয় থেকে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ) পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বীজ বপন সম্পন্ন করতে হবে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ফাল্গুনের মাঝামাঝি থেকে শেষ (মার্চ এর প্রথম থেকে শেষ সপ্তাহ) পর্যন্ত বীজ বপন সম্পন্ন করতে হবে। বিলম্বে বপন করলে ফলন হ্রাস পায়।
বীজ হারঃ হেক্টর প্রতি ২৫-৩০ কেজি (একর প্রতি ১০-১২ কেজি) বীজ ছিটিয়ে/লাইনে বপন করতে হয়। লাইন থেকে লাইনের দূরত্ব ১২ ইঞ্চি এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ২-৩ ইঞ্চি রাখতে হবে।
বীজ শোধনঃ বপনের পূর্বে প্রতি কেজি বীজ ৩.০ গ্রাম প্রোভ্যাক্স/বেভিষ্টিন ৫০ ডব্লিউপি দ্বারা শোধন করলে রোগের আক্রমণ কম হয়।
সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
দুটি চাষ দেয়ার পর নির্ধারিত পরিমান ইউরিয়া, টিএসপি এবং এমপি সার ছিটিয়ে পূনরায় চাষ এবং মই দিতে হয়। অন্যথায় বীজ অঙ্কুরোদগমে ব্যাঘাত ঘটে। সমস্ত সার শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করতে হবে। জমির উর্বরতার উপর নির্ভর করে ইউরিয়া বা অন্যান্য সারের মাত্রা তারতম্য করা যেতে পারে।
সারের নাম | কেজি/হেক্টর | কেজি/একর |
---|---|---|
ইউরিয়া | ৩০ | ১২ |
টিএসপি | ৭০ | ২৮ |
এমওপি | ৩৫ | ১৪ |
জিপসাম | ৫০-৭০ | ২০-২৮ |
দস্তা | ৩.৫-৫.০ | ১.৪-২.০ |
মলিবডেনাম | ০.৫-২.০ | ০.২-০.৮ |
জীবাণুসার (ইউরিয়ার পরিবর্তে) | ১.৫ | ০.৬ |
প্রয়োগের নিয়মঃ জমি তৈরীর শেষে চাষের আগে সম্পূর্ণ সার জমিতে সমভাবে ছিটিয়ে চাষের মাধ্যমে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। জমির উর্বরতা ও ফসলের অবস্থার উপর নির্ভর করে সার প্রয়োগ মাত্রার তারতম্য করা যেতে পারে।
সেচ ও নিষ্কাশনঃ গ্রীস্মকালীন মুগ বপনের সময় জমি শুস্ক হলে সেচ প্রয়োগ করে জমিতে জো আসার পর চাষ দিয়ে বীজ বপন করতে হয়। বীজ বপনের পর জমি শুস্ক হলে ২০-২৫ দিন পর আরও একটি সেচ দিতে হয়। জমিতে পরিমিত রস থাকলে সেচ দেয়ার প্রয়োজন হয় না।
আগাছা দমন ও মালচিং: চারা গজানোর পর জমিতে আগাছা দেখা দিলে ১৫-২০ দিনের মধ্যে নিড়ানী দিয়ে হালকাভাবে আগাছাগুলো পরিস্কার করে ফেলতে হয়। এতে ভাল ফলন পাওয়া যায়।
বালাইব্যবস্থাপনাঃ বিনামুগ-৭ হলুদ মোজাইক ভাইরাস রোগ সহ্য ক্ষমতা সম্পন্ন। সাধারনত: কোন ছত্রাকনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। তবে ছত্রাকজনিত রোগের বেশী আক্রমণ হলে ডায়াথেন এম-৪৫ বা অন্য কোন উপযুক্ত ছত্রাকনাশক ফসলী জমিতে স্প্রে আকারে প্রয়োগ করা যেতে পারে। পোকামাকড়ের আক্রমণ হলে ডায়াজিনন বা ম্যালাথিয়ন-৫৭ ইসি ইত্যাদি কীটনাশক মাত্রা অনুযায়ী স্প্রে করলে সুফল পাওয়া যায়।
হেক্টর প্রতি ফলনঃ ফলন ক্ষমতা হেক্টর প্রতি ২৪০০ কেজি, তবে গড় ফলন ১৮০০ কেজি/হেক্টর।
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন
ধান ফসল বিশেষজ্ঞ
(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)
কল করুনঃ +88017107879813
ই-মেইলঃ islamtariqul05@yahoo.com
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী
ড. মো. তারিকুল ইসলাম
প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা
ক্রপ ফিজিলজি বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২
জাতের নামঃ বিনামুগ -৮
জাতের বৈশিষ্ট্যঃউপযোগী এলাকাঃ বেলে দো-আশ ও এটেল দো-আশ মাটি ছোলা চাষের উপযোগী। তবে লবণাক্ত ও জলাবদ্ধ এলাকা ব্যতীত সারা বাংলাদেশে চাষাবাদ করা যায়।
বপনের সময়ঃ অঞ্চলভেদে কিছুটা তারতম্য আছে। বরিশাল বিভাগের জেলাসমূহে জানুয়ারির ২য় সপ্তাহ হতে ফেব্রুয়ারির ২য় সপ্তাহ পর্যন্ত মুগের বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে মধ্য ফেব্রুয়ারির থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বীজ বপন করতে হয়।
বীজ শোধনঃ বীজ বপন করার সময় পিপড়ার আক্রমন হতে রক্ষার জন্য বীজ বপনের সাথেই সেভিন পাউডার বপনকৃত বীজের লাইনের সাথে ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ শেষ চাষের সময় জমিতে সার প্রয়োগের পরিমাণঃ হেক্টর প্রতি ৩০-৪০ কেজি ইউরিয়া, ৫০-৭০কেজি টিএসপি এবং ৩৫-৪০ কেজি এমওপি।
আগাছা দমন ও মালচিং: আগাছা দেখা দিলে নিড়ানী বা হাতের সাহায্যে আগাছা পরিষ্কার এবং মাটি নরম করে মালচিং করতে হবে ।
বালাইব্যবস্থাপনাঃ ছত্রাকজনিত রোগের আক্রমন হলে ডায়াথেন এম-৪৫ স্প্রে করতে হবে। ফল ছিদ্রকারী এবং জাপ পোকার আক্রমণ হলে সবিক্রন-৪২৫ ইসি বা ম্যালাথিয়ন-৫৭ ইসি জাতীয় কীটনাশক নির্দিষ্ট মাত্রায় বিকাল বেলা স্প্রে করতে হবে।
হেক্টর প্রতি ফলনঃ গড় ফলন-১৮০০ কেজি।
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন
ডাল ফসল বিশেষজ্ঞ
(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)
কল করুনঃ ০১৭১৬২৮০৭২১
ই-মেইলঃ sbluna98@yahoo.com.com
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী
ড. শামছুন্নহার বেগম
প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা
উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২
জাতের নামঃ বিনামুগ -৯
জাতের বৈশিষ্টঃউপযোগী এলাকাঃ বেলে দো-আশ ও এটেল দো-আশ মাটি মুগ চাষের উপযোগী। তবে লবণাক্ত ও জলাবদ্ধ এলাকা ব্যতীত সারা বাংলাদেশে চাষাবাদ করা যায়।
বপনের সময়ঃ অঞ্চলভেদে কিছুটা তারতম্য আছে। বরিশাল বিভাগের জেলাসমূহে জানুয়ারির ২য় সপ্তাহ হতে ফেব্রুয়ারি ২য় সপ্তাহ পর্যন্ত মুগের বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বীজ বপন করতে হয়।
বীজ শোধনঃ বীজ বপন করার সময় পিপড়ার আক্রমন হতে রক্ষার জন্য বীজ বপনের সাথেই সেভিন পাউডার বপনকৃত বীজের লাইনের সাথে ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ শেষ চাষের সময় জমিতে সার প্রয়োগের পরিমাণঃ হেক্টর প্রতি ৩০-৪০ কেজি ইউরিয়া, ৫০-৭০কেজি টিএসপি এবং ৩৫-৪০ কেজি এমওপি।
আগাছা দমন ও মালচিং: চারা গজানোর পর জমিতে আগাছা দেখা দিলে ১৫-২৫ দিন পর নিড়ানী দিয়ে হালকাভাবে আগাছাগুলো পরিস্কার করে ফেলতে হয়। এতে ভাল ফলন পাওয়া যায়।
বালাইব্যবস্থাপনাঃ পাতায় সার্কোস্পরা দাগ এবং হলুদ মোজাইক ভাইরাস রোগ সহ্য ক্ষমতাসম্পন্ন। সাধারণতঃ কোন ছত্রাক নাশক ব্যবহারের প্রয়োজন পরে না। তবে ছত্রাকজনিত রোগের মারাত্মক আক্রমণ হলে ডায়াথেন এম-৪৫ বা অন্য কোন ছত্রাক নাশক ফসলী জমিতে স্প্রে আকারে প্রয়োগ করা যেতে পারে। বপনের পূর্বে প্রতি কেজি বীজ ২.০ গ্রাম প্রোভ্যাক্স দ্বারা শোধন করলে রোগের আক্রমণ কম হয়। তাছাড়া এ জাতের পোকা আক্রমণও তুলনামূলকভাবে যথেষ্ট কম। পোকামাকড়ের আক্রমণ হলে ডায়াজিনন বা ম্যালাথিয়ন-৫৭ ইসি ইত্যাদি কীটনাশক মাত্রা অনুযায়ী স্প্রে করলে সুফল পাওয়া যায়।
হেক্টর প্রতি ফলনঃ ১.৮ টন ।
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন
ডাল ফসল বিশেষজ্ঞ
(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)
কল করুনঃ ০১৭১৬২৮০৭২১
ই-মেইলঃ sbluna98@yahoo.com.com
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী
ড. শামছুন্নহার বেগম
প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা
উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২