বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল সরিষা সম্পর্কে জানতে ট্যাব সিলেক্ট করুন।
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল সরিষা সম্পর্কে জানতে ট্যাব সিলেক্ট করুন।
জাতের নামঃ বিনাসরিষা-৪
জাতের বৈশিষ্টঃজমি ও মাটিঃ সব ধরণের জমিতে চাষ করা যায় তবে দো-আঁশ হতে এটেল দো-আঁশ মাটিতে জাতটি ভাল জন্মে।
জমি তৈরীঃ সরিষার বীজ ছোট বিধায় ৪-৫টি চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে ভালোভাবে জমি তৈরি করতে হবে। জমিতে যাতে বড় বড় ঢিলা ও আগাছা না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
বপণের সময়ঃ সাধারণত কার্তিক মাস (মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য নভেম্বর) এ জাতের সরিষা বপন করার উপযুক্ত সময়। তবে বিনাসরিষা-৪ মধ্য অগ্রহায়ণ (নভেম্বরের শেষ) পর্যন্ত বীজ বোনা যায়।
বীজ হারঃ একর প্রতি ৩.০ কেজি বীজ ছিটিয়ে বা ২.৪ কেজি বীজ ৩০ সে.মি. দূরত্বে সারিতে বপন করতে হবে।
সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
কৃষি পরিবেশ অঞ্চলভেদে সারের মাত্রা কম-বেশি হয়। তাই সাধারণভাবে একর প্রতি ৮০-১০০ কেজি ইউরিয়া, ৬০-৭০ কেজি টিএসপি, ৩০-৩৫ কেজি এমওপি, ৫০-৬০ কেজি জিপসাম, ২ কেজি জিংক সালফেট এবং ৪-৫ কেজি বোরাক্স সার প্রয়োগ যায়। অর্ধেক পরিমাণ ইউরিয়া এবং অন্যান্য সারের সবটুকু জমি তৈরির শেষ চাষের সময় মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। বাকী অর্ধেক ইউরিয়া বীজ বপনের ২০-২৫ দিন পর সেচসহ উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
সেচ ও নিষ্কাশনঃ চারা গজানোর ২০-২৫ দিনের মধ্যে প্রথম সেচ এবং প্রয়োজনে ফুল ফোঁটা শেষ হলে দ্বিতীয় সেচ দিতে হবে। তবে জমিতে পর্যাপ্ত রস থাকলে সেচ দেয়ার প্রয়োজন নেই।
আগাছা দমন ও মালচিং: চারা গজানোর ১৫-২০ দিনের মধ্যে একবার নিড়ানি দিয়ে আগাছা এবং অতিরিক্ত চারা উঠিয়ে ফেলতে হবে।
বালাইব্যবস্থাপনাঃ পাতা ও ফলের ঝলসানো বা অলটারনারিয়া ব্লাইট রোগ এবং জাবপোকা সরিষা চাষের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অলটারনারিয়া ব্লাইট রোগের প্রকোপ বেড়ে গেলে প্রতি লিটার পানিতে ৩ গ্রাম রোভরাল-৫০ ডব্লিউপি বিকালে স্প্রে করতে হবে। ৭-১০ দিন পর পর ৩ বার স্প্রে করতে হবে। জাবপোকার আক্রমণ হলে ম্যালাথিয়ন-৫৭ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ২ মি.লি. হিসাবে মিশিয়ে সম্পূর্ণ গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।
হেক্টর প্রতি ফলনঃ হেক্টর প্রতি গড়ে ১.৭০ টন।
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন
তৈল ফসল বিশেষজ্ঞ
(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)
কল করুনঃ +8801712106620
ই-মেইলঃ malekbina@gmail.com
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী
ড. মোঃ আব্দুল মালেক
মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা
উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২
জাতের নামঃ বিনা সরিষা-৭
জাতের বৈশিষ্টঃজমি ও মাটিঃ সব ধরণের জমিতে চাষ করা যায় তবে দো-আঁশ হতে এটেল দো-আঁশ মাটিতে জাতটি ভাল জন্মে।
জমি তৈরীঃ সরিষার বীজ ছোট বিধায় ৪-৫টি চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে ভালোভাবে জমি তৈরি করতে হবে। জমিতে যাতে বড় বড় ঢিলা ও আগাছা না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
বপণের সময়ঃ সাধারণত আশ্বিন মাসের শেষ থেকে কার্তিক মাসের শেষ পর্যন্ত বীজ বপন করার উপযুক্ত সময়। তবে বিনাসরিষা-৭ মধ্য অগ্রহায়ণ (নভেম্বরের শেষ) পর্যন্ত বীজ বোনা যায়।
বীজ হারঃ একর প্রতি ৩.০ কেজি বীজ ছিটিয়ে বা ২.৪ কেজি বীজ ৩০ সে.মি. দূরত্বে সারিতে বপন করতে হবে।
সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
কৃষি পরিবেশ অঞ্চলভেদে সারের মাত্রা কম-বেশি হয়। তাই সাধারণভাবে একর প্রতি ৮০-১০০ কেজি ইউরিয়া, ৬০-৭০ কেজি টিএসপি, ৩০-৩৫ কেজি এমওপি, ৫০-৬০ কেজি জিপসাম, ২ কেজি জিংক সালফেট এবং ৪-৫ কেজি বোরাক্স সার প্রয়োগ যায়। অর্ধেক পরিমাণ ইউরিয়া এবং অন্যান্য সারের সবটুকু জমি তৈরীর শেষ চাষের সময় মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। বাকী অর্ধেক ইউরিয়া বীজ বপনের ২০-২৫ দিন পর সেচসহ উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
সেচ ও নিষ্কাশনঃ চারা গজানোর ২০-২৫ দিনের মধ্যে প্রথম সেচ এবং প্রয়োজনে ফুল ফোঁটা শেষ হলে দ্বিতীয় সেচ দিতে হবে। তবে জমিতে পর্যাপ্ত রস থাকলে সেচ দেয়ার প্রয়োজন নেই।
আগাছা দমন ও মালচিং: চারা গজানোর ১৫-২০ দিনের মধ্যে একবার নিড়ানি দিয়ে আগাছা এবং অতিরিক্ত চারা উঠিয়ে ফেলতে হবে।
বালাইব্যবস্থাপনাঃ পাতা ও ফলের ঝলসানো বা অলটারনারিয়া ব্লাইট রোগ এবং জাবপোকা সরিষা চাষের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অলটারনারিয়া ব্লাইট রোগের প্রকোপ বেড়ে গেলে প্রতি লিটার পানিতে ৩ গ্রাম রোভরাল-৫০ ডব্লিউপি বিকালে স্প্রে করতে হবে। ৭-১০ দিন পর পর ৩ বার স্প্রে করতে হবে। জাবপোকার আক্রমণ হলে ম্যালাথিয়ন-৫৭ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ২ মি.লি. হিসেবে মিশিয়ে সম্পূর্ণ গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।
হেক্টর প্রতি ফলনঃ হেক্টর প্রতি গড়ে ২.০ টন।
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন
তৈল ফসল বিশেষজ্ঞ
(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)
কল করুনঃ +8801712106620
ই-মেইলঃ malekbina@gmail.com
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী
ড. মোঃ আব্দুল মালেক
মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা
উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২
জাতের নামঃবিনা সরিষা-৮
জাতের বৈশিষ্টঃজমি ও মাটিঃ এ জাতের সরিষা বেলে দোআঁশ হতে এটেল দোআঁশ মাটিতে ভালো জন্মে। মাঝারি উঁচু জমি এ জাতের চাষের জন্য নির্বাচন করা উচিত।
জমি তৈরীঃ সরিষার বীজ ছোট বিধায় ভালোভাবে চাষ দিয়ে জমি তৈরি করতে হবে। চার থেকে ৫টি চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে জমি তৈরি করতে হবে। জমিতে যাতে বড় বড় ঢিলা ও আগাছা না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
বপণের সময়ঃ সাধারণত আশ্বিন মাসের শেষ থেকে কার্তিক মাসের শেষ পর্যমত (মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য নভেম্বর) এ জাত বপন করার উপযুক্ত সময়। তবে এ জাতের সরিষা মধ্য অগ্রহায়ণ (নভেম্বরের শেষ) পর্যন্ত বপন করা যায়।
বীজ হারঃ একর প্রতি ৩.০ কেজি বীজ ছিটিয়ে বা ২.৪ কেজি বীজ ৩০ সে.মি. দূরত্বে সারিতে বপন করতে হবে।
সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
কৃষি পরিবেশ অঞ্চলভেদে সারের মাত্রা কম-বেশি হয়। তাই সাধারণভাবে একর প্রতি ৮০-১০০ কেজি ইউরিয়া, ৬০-৭০ কেজি টিএসপি, ৩০-৩৫ কেজি এমওপি, ৫০-৬০ কেজি জিপসাম, ২ কেজি জিংক সালফেট এবং ৪-৫ কেজি বোরাক্স সার প্রয়োগ যায়। অর্ধেক ইউরিয়া এবং অন্যান্য সারের সবটুকু শেষ চাষের আগে জমিতে ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হবে এবং বাকি অর্ধেক ইউরিয়া উপরি প্রয়োগ হিসেবে চারা গজানোর ২৫-৩০ দিন পর অর্থাৎ ফুল আসার আগেই প্রয়োগ করতে হবে। উপরি প্রয়োগের সময় জমিতে রস থাকা বাঞ্ছনীয়। রস কম থাকলে হালকা সেচ দিয়ে ইউরিয়া প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করার সুযোগ না থাকলে সবটুকু সার জমি তৈরির সময় প্রয়োগ করতে হবে।
সেচ ও নিষ্কাশনঃ সেচের পর জমিতে জোঁ আসার সাথে সাথে কোদাল অথবা নিড়ানি দিয়ে মাটি আলগা করে দিলে জমিতে রস বেশি দিন ধরে রাখা যায়। বাড়মত অবস্থায় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন পোকামাকড় ও রোগবালাই ফসলের ক্ষতি না করে।
আগাছা দমন ও মালচিংঃ অরোবাংকি নামক এক প্রকার পরগাছা সরিষার গাছের গোড়ায় জন্মিতে দেথা যায়। সরিষার জমিতে এ পরগাছা দেখা দিলে নিড়ানি দিয়ে উঠিয়ে এগুলোকে নষ্ট করে ফেলতে হবে। যে সমস্ত জমিতে অরোবাংকির আক্রমণ দেখা যায় সে সমস্ত জমিতে পরপর দুই বছর সরিষা চাষ না করা ভালো। বিশেষ করে পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর, কুষ্টিয়া এবং চুয়াডাঙ্গা জেলায় অরোবাংকির আক্রমণ বেশি দেখা যায়।
বালাইব্যবস্থাপনাঃ সরিষা ফসলের প্রধান রোগ অল্টারনারিয়া ব্লাইট বা পাতার দাগ পড়া রোগ। এ রোগ দেখা দিলে গাছের পাতায় প্রথমে বাদামী অথবা গাঢ় রঙের গোলাকার দাগ দেখা যায়। এ রোগ প্রকট হলে গাছের কান্ডে এমনকি শুঁটিতেও গোলাকার কালো দাগ দেখা যেতে পারে। এ রোগের আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করতে হলে বীজ শোধন করে বপন করা দরকার। সেক্ষেত্রে প্রতি কেজি বীজ ২.৫ গ্রাম ক্যাপ্টান বা প্রোভ্যাক্স ছত্রাকনাশক দিয়ে শোধন করতে হবে অথবা রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে। তবে ফসলের ক্ষেতে এ রোগের আক্রমণ হলে রোভরাল-৫০ ডাব্লুপি ছত্রাকনাশক ঔষধ ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশেয়ে এক সপ্তাহ পর পর তিনবার স্প্রে মেশিনের সাহায্যে স্প্রে করতে হবে।সরিষার প্রধান ক্ষতিকারক পোকা জাবপোকা। এ পোকার আক্রমণ বেশি হলে ম্যালাথিয়ন-৫৭ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলিলিটার হারে মিশিয়ে সম্পূর্ণ গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে। সরিষার আগাম চাষ করলে জাবপোকার আক্রমণ কম হয়। সরিষার জমিতে অপরাহ্নে কীটনাশক স্প্রে করা উচিত, এতে জমিতে বিচরণকারী মৌমাছির ক্ষতির আশংকা কম থাকে।
হেক্টর প্রতি ফলনঃ ২.৪০ (টন/হেঃ)।
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন
তৈল ফসল বিশেষজ্ঞ
(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)
কল করুনঃ +8801712106620
ই-মেইলঃ malekbina@gmail.com
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী
ড. মোঃ আব্দুল মালেক
মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা
উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২
জাতের নামঃ বিনা সরিষা-৯
জাতের বৈশিষ্টঃজমি ও মাটিঃ সব ধরণের জমিতে চাষ করা যায় তবে দো-আঁশ হতে এটেল দো-আঁশ মাটিতে জাতটি ভাল জন্মে।
জমি তৈরীঃ সরিষার বীজ ছোট বিধায় ভালোভাবে চাষ দিয়ে জমি তৈরি করতে হবে। ৪ থেকে ৫টি চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে জমি তৈরি করতে হবে। জমিতে যাতে বড় বড় ঢিলা ও আগাছা না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
বপণের সময়ঃ সাধারণত কার্তিক মাস (মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য নভেম্বর) এ জাতের সরিষা বপন করার উপযুক্ত সময়। তবে বিনাসরিষা-৪ মধ্য অগ্রহায়ণ (নভেম্বরের শেষ) পর্যন্ত বীজ বোনা যায়।
বীজ হারঃ একর প্রতি ৩.০ কেজি বীজ ছিটিয়ে বা ২.৪ কেজি বীজ ৩০ সে.মি. দূরত্বে সারিতে বপন করতে হবে।
সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
কৃষি পরিবেশ অঞ্চলভেদে সারের মাত্রা কম-বেশি হয়। তাই সাধারণভাবে একর প্রতি ৮০-১০০ কেজি ইউরিয়া, ৬০-৭০ কেজি টিএসপি, ৩০-৩৫ কেজি এমওপি, ৫০-৬০ কেজি জিপসাম, ২ কেজি জিংক সালফেট এবং ৪-৫ কেজি বোরাক্স সার প্রয়োগ যায়। অর্ধেক পরিমাণ ইউরিয়া এবং অন্যান্য সারের সবটুকু জমি তৈরির শেষ চাষের সময় মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। বাকী অর্ধেক ইউরিয়া বীজ বপনের ২০-২৫ দিন পর সেচসহ উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
সেচ ও নিষ্কাশনঃ চারা গজানোর ২০-২৫ দিনের মধ্যে প্রথম সেচ এবং প্রয়োজনে ফুল ফোঁটা শেষ হলে দ্বিতীয় সেচ দিতে হবে। তবে জমিতে পর্যাপ্ত রস থাকলে সেচ দেয়ার প্রয়োজন নেই।
আগাছা দমন ও মালচিং: চারা গজানোর ১৫-২০ দিনের মধ্যে একবার নিড়ানি দিয়ে আগাছা এবং অতিরিক্ত চারা উঠিয়ে ফেলতে হবে।
বালাইব্যবস্থাপনাঃ পাতা ও ফলের ঝলসানো বা অলটারনারিয়া ব্লাইট রোগ এবং জাবপোকা সরিষা চাষের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অলটারনারিয়া ব্লাইট রোগের প্রকোপ বেড়ে গেলে প্রতি লিটার পানিতে ৩ গ্রাম রোভরাল-৫০ ডব্লিউপি বিকালে স্প্রে করতে হবে। ৭-১০ দিন পর পর ৩ বার স্প্রে করতে হবে। জাবপোকার আক্রমণ হলে ম্যালাথিয়ন-৫৭ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ২ মি.লি. হিসাবে মিশিয়ে সম্পূর্ণ গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।
হেক্টর প্রতি ফলনঃ হেক্টর প্রতি গড়ে ১.৬০ টন।
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন
তৈল ফসল বিশেষজ্ঞ
(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)
কল করুনঃ +8801712106620
ই-মেইলঃ malekbina@gmail.com
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী
ড. মোঃ আব্দুল মালেক
মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা
উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২
জাতের নামঃ বিনা সরিষা-১০
জাতের বৈশিষ্টঃজমি ও মাটিঃ সব ধরণের জমিতে চাষ করা যায় তবে দো-আঁশ হতে এটেল দো-আঁশ মাটিতে জাতটি ভাল জন্মে।
জমি তৈরীঃ সরিষার বীজ ছোট বিধায় ভালোভাবে চাষ দিয়ে জমি তৈরি করতে হবে। চার থেকে ৫টি চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে জমি তৈরি করতে হবে। জমিতে যাতে বড় বড় ঢিলা ও আগাছা না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
বপণের সময়ঃ সাধারণত কার্তিক মাস (মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য নভেম্বর) এ জাতের সরিষা বপন করার উপযুক্ত সময়। তবে বিনাসরিষা-৪ মধ্য অগ্রহায়ণ (নভেম্বরের শেষ) পর্যন্ত বীজ বোনা যায়।
বীজ হারঃ একর প্রতি ৩.০ কেজি বীজ ছিটিয়ে বা ২.৪ কেজি বীজ ৩০ সে.মি. দূরত্বে সারিতে বপন করতে হবে।
সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
কৃষি পরিবেশ অঞ্চলভেদে সারের মাত্রা কম-বেশি হয়। তাই সাধারণভাবে একর প্রতি ৮০-১০০ কেজি ইউরিয়া, ৬০-৭০ কেজি টিএসপি, ৩০-৩৫ কেজি এমওপি, ৫০-৬০ কেজি জিপসাম, ২ কেজি জিংক সালফেট এবং ৪-৫ কেজি বোরাক্স সার প্রয়োগ যায়। অর্ধেক পরিমাণ ইউরিয়া এবং অন্যান্য সারের সবটুকু জমি তৈরির শেষ চাষের সময় মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। বাকী অর্ধেক ইউরিয়া বীজ বপনের ২০-২৫ দিন পর সেচসহ উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
সেচ ও নিষ্কাশনঃ চারা গজানোর ২০-২৫ দিনের মধ্যে প্রথম সেচ এবং প্রয়োজনে ফুল ফোঁটা শেষ হলে দ্বিতীয় সেচ দিতে হবে। তবে জমিতে পর্যাপ্ত রস থাকলে সেচ দেয়ার প্রয়োজন নেই।
আগাছা দমন ও মালচিং: চারা গজানোর ১৫-২০ দিনের মধ্যে একবার নিড়ানি দিয়ে আগাছা এবং অতিরিক্ত চারা উঠিয়ে ফেলতে হবে।
বালাইব্যবস্থাপনাঃ পাতা ও ফলের ঝলসানো বা অলটারনারিয়া ব্লাইট রোগ এবং জাবপোকা সরিষা চাষের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অলটারনারিয়া ব্লাইট রোগের প্রকোপ বেড়ে গেলে প্রতি লিটার পানিতে ৩ গ্রাম রোভরাল-৫০ ডব্লিউপি বিকালে স্প্রে করতে হবে। ৭-১০ দিন পর পর ৩ বার স্প্রে করতে হবে। জাবপোকার আক্রমণ হলে ম্যালাথিয়ন-৫৭ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ২ মি.লি. হিসাবে মিশিয়ে সম্পূর্ণ গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।
হেক্টর প্রতি ফলনঃ ১.৫ টন/হেক্টর।
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন
তৈল ফসল বিশেষজ্ঞ
(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)
কল করুনঃ +8801712106620
ই-মেইলঃ malekbina@gmail.com
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী
ড. মোঃ আব্দুল মালেক
মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা
উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২